প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : আত্মবিশ্বাস ফেরত পেয়েছেন অনুব্রত ! দলনেত্রীর কথায় ভরসা পেয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন আইনজীবী মারফত। গরুপাচার কাণ্ডে গ্রেফতার দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতার চোখে জল দেখা গিয়েছিল বীরভূম থেকে কলকাতা আসার সময়ে। সূত্রের খবর নাকি তিনি বেশ মুষড়েই পড়েছিলেন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেষ্ট কী করেছে ? তারপরই নাকি বল-ভরসা ফিরে পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। আর তারপর থেকেই নাকি তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বলে কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি !


আত্মবিশ্বাসী অনুব্রত 
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাসে আত্মবিশ্বাসী হয়ে নাকি অনুব্রত মণ্ডল জেরায় আরও বেশি অসহযোগিতা করতে শুরু করেছেন।  দাবি করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার চাঞ্চল্যকর দাবি, দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের যাবতীয় দুর্নীতির দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন অনুব্রত।

আরও পড়ুন : 


' খেলা তো শুরু হয়ে গিয়েছে, দুটো গোল খেয়েছে' খেলা হবে দিবস নিয়ে দিলীপের কটাক্ষ


জেরায় কী বললেন অনুব্রত 
সায়গলকে এনামুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কোনও নির্দেশ দেননি বলে জেরায় দাবি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির। পাশাপাশি, সায়গলের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়েও কিছুই জানতেন না বলে দাবি অনুব্রতর। সায়গল তাঁর দেহরক্ষী ছিলেন। তার বাইরে তাঁকে অতিরিক্ত কোনও ক্ষমতা দেননি, সিবিআইয়ের জেরায় দাবি অনুব্রতর। 


চার্জশিটে কী দাবি?
গরুপাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের সরাসরি যোগ রয়েছে বলে চার্জশিটে দাবি সিবিআইয়ের। খবর সূত্রের। চার্জশিটে সিবিআইয়ের দাবি, অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন গরুপাচারে সহযোগিতা করতেন। অনুব্রতর নাম করেই ব্যবসায়ী এনামুল হকের কাছ থেকে টাকা নিতেন সায়গল। এভাবেই ২০১৫-২২, এই ৭ বছরে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এমনকি কলকাতায় প্রচুর সম্পত্তি কিনেছেন সায়গল।

' সায়গল হোসেনের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতি নেই '
চার্জশিটে সিবিআইয়ের দাবি, পুলিশ কনস্টেবল সায়গল হোসেনের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতি নেই সম্পত্তির। চার্জশিটে সিবিআইয়ের দাবি, অনুব্রতর হয়ে ফোন ধরতেন সায়গল। তাঁর সঙ্গে গরুপাচারে ধৃত এনামুল হকের মোবাইলে কথোপকথনের তথ্য হাতে এসেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। গরুপাচার মামলায় ৯৬ জন সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই তথ্য মিলেছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ সিবিআইয়ের।