সৌমেন চক্রবর্তী ও বিশ্বজিত্ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: অবশেষে খড়গপুর আইআইটির (Kharagpur IIT) মৃত ছাত্রের দেহ নিল পরিবার। তবে তারা এখনও ডিএনএ পরীক্ষার দাবি অনড়। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। আজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে আইআইটি-র সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল (TMC)।
হস্টেলের ঘরে উদ্ধার হয় পড়ুয়ার দেহ
খড়গপুর IIT-র (IIT Student's Death) এক ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। IIT কর্তৃপক্ষের সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রের নাম ফয়জান আহমেদ। কিন্তু দেহ শনাক্ত করতে না পারায় জেলাশাসকের কাছে DNA পরীক্ষার দাবি জানিয়েছে ফয়জানের পরিবার। জেলা প্রশাসন সূত্র খবর, DNA পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
অসমের তিনসুকিয়ার বাসিন্দা ফয়জান আহমেদ। তাঁর বাবার মোটর পার্টসের দোকান রয়েছে। খড়গপুর IIT সূত্রে খবর, ফয়জান বিটেক মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন। থাকতেন হস্টেলে। শুক্রবার দুর্গন্ধ পেয়ে হস্টেল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেন।পুলিশ এসে পচাগলা দেহ উদ্ধার করে।
পুলিশের অনুমান, দু'-তিন দিন আগে মৃত্যু হয়েছে ওই পড়ুয়ার। দেহটি পচেগলে এতটাই বিকৃত হয়ে গেছে যে প্রথমে ফয়জানের পরিবার দেহটি ফেরত নিতে চায়নি। শেষপর্যন্ত শনিবার রাতে দেহ নেয় পরিবার। এর পরই দেহ অসমে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা হয়।
আরও পড়ুন: Kharagpur IIT: আইআইটি ছাত্রের পচাগলা দেহ উদ্ধার, ‘আমার ছেলেই নয়’, শনাক্তকরণে গিয়ে দাবি বাবার
কিন্তু কী ভাবে মৃত্যু হল মেধাবি ছাত্র ফয়জান আহমেদের? আত্মহত্যা, নাকি অন্য কোনও কারণ? ফয়জান আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন, তা মানতে নারাজ তাঁর পরিবার। মৃতের আত্মীয় নাজমা বেগম বলেন, "ও আত্মহত্যা করতে পারে এটা আমরা বিশ্বাস করি না।" মৃতের বাবাও জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে আত্মহত্যা করতে পারেন না। ফয়জানকে নির্ঘাত খুন করা হয়েছে বলে অনুমান তাঁর।
এই ধরনের ঘটনায় কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগে রবিবার আইআইটি-র সামনে বিক্ষোভ দেখান খড়গপুর শহর তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। শামিল হন তৃণমূল নেতা এবং খড়্গপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকার। কী ভাবে মৃত্যু, তার আন্দাজ পেতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিশ।
মৃতদেহ শনাক্ত করতে গিয়ে ছেলে তাদের নয় বলে দাবি করে পরিবার
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট যাতে তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। DNA পরীক্ষার ব্যবস্থা করতেও বলা হয়েছে।
তবে মৃতের পরিবার কোনও এফআইআর দায়ের করেনি।