কলকাতা: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বৈঠকে আমন্ত্রিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ২৭-২৮ অক্টোবর, হরিয়ানার সূর্যকুণ্ডে সব কটি রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমন্ত্রিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  


শাহের বৈঠকে আমন্ত্রিত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী


দিল্লি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৭-২৮ অক্টোবর সব রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে হরিয়ানার বৈঠকে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বৈঠকে পৌরহিত্য করবেন খোদ শাহ। বাংলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমন্ত্রিত মমতাও। স্বরাষ্ট্রসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন শাহ।


এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাইলে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, "ওঁর তো অবশ্যই যাওয়া উচিত। বাংলায় শাসনব্যবস্থার যা অবস্থা, সুরক্ষার যা অবস্থা, তাতে একটু গিয়ে দেখে আসা উচিত কী ভাবে প্রশাসন চালাতে হয়। বাংলা সীমান্তবর্তী রাজ্য। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি। সব জঙ্গি সংস্থার এজেন্ট এখানে পাওয়া যাচ্ছে, গ্যাংস্টারদের হদিশ মিলছে। হয় ইচ্ছাকৃত ভাবে তাদের থাকতে দেওয়া হচ্ছে, নইলে হয়ত খোঁজ পান না, জানতেই পারেন না। তাই বাংলায় প্রশাসনের দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের প্রশিক্ষণ নিয়ে আসা উচিত।"  


আরও পড়ুন: Howrah Money Recovery : এবার হাওড়া, শিবপুরে ব্যবসায়ীর বাড়ির গ্যারাজ থেকে উদ্ধার ২ কোটি টাকা ও সোনার গয়না !


শাহের বৈঠকে মমতাকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে কটাক্ষ পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূল এবং বিজেপি-র


তবে শাহকেই পাল্টা মমতার পরামর্শ নেওয়ার সুপারিশ করেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন (Santunu Sen)। তাঁর কথায়, "এটাই তো স্বাভাবিক! ভারতের সংবিধানে যে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর কথা বলে, তাতে এটাই হওয়া উচিত। কিন্তু বিজেপি ক্ষমতার দম্ভে যে ভাবে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে ভেঙে তছনছ করে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছে, তার জন্যই অবাক হচ্ছি আমরা। ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর রেকর্ড অনুযায়ী, বাংলা দেশের সবচেয়ে নিরাপদ রাজ্য। কলকাতা দেশের নিরাপদতম শহর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া উচিত শাহের, যাতে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে বাংলার মতো নিরাপদ করে তোলা যায়।" 


নিয়োগ দুুর্নীতি থেকে গরু ও কয়লা পাচার মামলায় সাম্প্রতিক কালে বাংলায় যে ভাবে তৎপরতা বাড়িয়েছে সিবিআই এবং ইডি, তার জন্য কেন্দ্র-রাজ্য সঙ্ঘাত আরও চরমে উঠেছে। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে কেন্দ্র তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তুলছে তৃণমূল। খওদ মমতাও তেমনই দাবি করেছেন। সেই পরিস্থিতিতে শাহের বৈঠকেই মমতাকে আমন্ত্রণ জানানো হল শাহের বৈঠকে।