ট্রেন্ডিং





Bihar Bridge Collapse: ধসে নেমে গেল মাঝের অংশ, নদীতে বসে গেল থাম, বিহারে ফের ভাঙল সেতু, ১৭ দিনে ১২টি
Saran Bridge Collapse: বিহারের সিওয়ান জেলার পাশের জেলাই সারণ।

পটনা: বর্ষা শুরু হতেই পর পর বিপর্যয় নেমে এসেছে। ফের একবার সেতু বিপর্যয় বিহারে। এবার সারণে সেতু ভেঙে পড়ল। বৃহস্পতিবার সকালে ভেঙে পড়ে সেতুটি। গত ২৪ ঘণ্টায় দু'টি সেতু ভেঙে পড়েছে সেথানে। সারণের সেতুটির বয়স ১৫ বছর বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে পর পর সেতু বিপর্যয়ে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। (Bihar Bridge Collapse)
বিহারের সিওয়ান জেলার পাশের জেলাই সারণ। রবিবার সেখানকার বানিয়াপুর এলাকায় গণ্ডকী নদীর উপর সেখানে ১৫ বছর আগে তৈরি একটি সেতু ভেঙে পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবি এবং ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে সেতুটির মাঝের বেশ খানিকটা অংশ ধসে গিয়েছে বলে দেখা গিয়েছে। নদীর উপর বসানো স্তম্ভও মাঝখান থেকে ভেঙে গিয়েছে। সারণ এবং সিওয়ানের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করত সেতুটি। এই নিয়ে গত দু'দিনে সারণে তৃতীয় সেতু ভেঙে পড়ল বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক আমন সমীর। (Saran Bridge Collapse)
কী কারণে সেতুটি ভেঙে পড়ল সেই নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। যদিও স্থানীয়দের দাবি, সম্প্রতি নদী থেকে পলি তোলার কাজ শুরু হয়। তার পরই এই বিপত্তি। স্থানীয় প্রশাসন যদিও পলি তোলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলাশাসক বলেন, "১৫ বছর আগে সেতুটির নির্মাণ হয়। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। প্রশাসনিক আধিকারিকরাও পৌঁছচ্ছেন। সেতু ভেঙে পড়ার কারণ এখনও জানা যায়নি।"
আরও পড়ুন: Brain Eating Amoeba: মস্তিষ্ক খেকো অ্যামিবার সংক্রমণ, পুকুরে স্নান করে চরম পরিণতি কিশোরের
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন ধরে লাগাতার ভারী বৃষ্টি চলছে। সেই কারণেও বিপর্যয় ঘটে থাকতে পারে। সব মিলিয়ে গত ১৭ দিনে বিহারে ১২টি সেতু ভেঙে পড়েছে। গত ১৮ জুন আরারিয়ায় একটি সেতু ভেঙে পড়ে, ২২ জুন, সিওয়ানে, ২৩ জুন পূর্ব চম্পারণে, ২৭ জুন কিষাণগঞ্জে, ২৮ জুন মধুবনিতে, ১ জুলাই মুজফ্ফরপুরে, ৩ জুলাই সিওয়ানে তিনটি, সারণে দু'টি। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৪ জুলাই ফের সারণেই সেতু ভেঙে পড়ল।
পর পর সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সমস্ত পুরনো সেতুগুলিকে চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেতু রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতের কাজেও জোর দিতে বলেছেন তিনি। যদিও সেই নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের তেজস্বী যাদব। বার বার এই বিপর্যয়ের দায় কার, তার জবাব দিতে হবে বলে দাবি তুলেছেন তিনি।