নয়াদিল্লি:  ক্ষণিকের জন্য মনে হতে বোধহয় কোনও সিরিজের দৃশ্য। হাসপাতালের ভিতরে ঠান্ডা মাথায় এগিয়ে আসছে একদল দুষ্কৃতী। চাহনীতে কোনও চিন্তার ছাপ নেই। দেখে বুঝে ওঠার জো নেই, আর কিছুক্ষণের মধ্যেই কোমর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বার করবে। খুন করবে চিকিৎসাধীন কোনও কয়েদীকে। শিউরে ওঠা সিসিটিভি ফুটেজ অন্তত তেমনটাই জানান দিল। যদিও কোনও রিল নয়, বরং ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। শ্যুটআউট চলল বিহারের পাটনার হাসপাতালে ! গুলিবৃষ্টিতে নিহত চিকিৎসাধীন কয়েদি চন্দন মিশ্র।

আরও পড়ুন, ভিন রাজ্যে বাঙালিদের 'হেনস্থা' নিয়ে কেন্দ্রকে প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর, 'বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি হয়ে গেল ?..'

'কীকরে কী করে দুষ্কৃতীরা ঢুকল হাসপাতালে? ..'

জানা গিয়েছে, বক্সারের বাসিন্দা চন্দন মিশ্রর নামে অন্তত এক ডজন খুনের মামলা ছিল। মামলা চলাকালীন শারীরিক অসুস্থতার জন্য অসুস্থ চন্দন মিশ্রকে চিকিৎসার জন্য প্যারোলে পারস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু তার মাঝেই ঘটে গেল এই ভয়াবহ ঘটনা। হাসপাতালে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের গুলিবৃষ্টিতে প্রাণ হারিয়েছে কয়েদি চন্দন মিশ্র। গুলিবর্ষণের পরেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা।কিন্তু এরপরেই প্রশ্ন উঠেছে, কীকরে কী করে দুষ্কৃতীরা ঢুকল হাসপাতালে?  SSP-র দাবি, এই খুনের পিছনে রয়েছেন, চন্দন মিশ্রর রাইভাল গ্যাং চন্দন শেরুর গ্যাং। ইতিমধ্য়েই নিরাপত্তার ইস্যুতে  হাসপাতালের ১০ রক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। 

চলতি মাসেই বিহারের পাটনায় আরও একটি ভয়াবহ খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল 

চলতি মাসেই বিহারের পাটনায় অভিজাত গান্ধী ময়দান এলাকায় নামী ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। সামনে এসেছিল হামলার মুহূর্তের CC ক্যামেরার ফুটেজ। যেখানে ব্যবসায়ী গোপাল খেমকার ওপর হামলা হয়েছিল, তার ৩০০ মিটার দূরে গান্ধী ময়দান থানা।  CC ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, রাতে ব্যবসায়ী গোপাল খেমকার অ্যাপার্টমেন্টের সামনে অপেক্ষা করছিল হেলমেট পরা আততায়ী। রাত ১১টা ৩৮ মিনিটে ব্যবসায়ী গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল হামলাকারী। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ব্যবসায়ীকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। ব্যবসায়ীর পরিবারের অভিযোগ, ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৩০০ মিটার দূরে গান্ধী ময়দান থানা। অথচ পুলিশ এসেছিল ২ ঘণ্টা পরে। ঘটনাস্থলের কাছেই পুলিশ সুপার গ্রামীণের সরকারি বাংলো। অভিজাত এলাকা, সেখানে ব্যবসায়ীকে গুলি করে কাভাবে পালিয়ে গিয়েছিল আততায়ী? পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন।