নয়াদিল্লি: বিদেশ থেকে আনা একের পর এক চিতার মৃত্যু হয়েছে মধ্যপ্রদেশে। এবার বিদেশি চিতার জন্য মধ্যপ্রদেশেই দ্বিতীয় আশ্রয়স্থল গড়ে তোলার কাজে হাত দিল কেন্দ্র। চিতাদের বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ আদৌ রয়েছে কিনা, তা দেখতে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞদের একটি দল উড়ে আসছে ফেব্রুয়ারি মাসেই। সব ঠিক থাকলে মধ্যেপ্রদেশে দ্বিতীয় আশ্রয়স্থল পেতে চলেছে বিদেশি চিতারা। (Cheetah Project in India)


বিদেশ থেকে আমদানি করা চিতাদের এতদিন মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কেই রাখা হয়েছিল। এবার মধ্যপ্রদেশেরই গাঁধী সাগর ওয়াইল্ডলাইফ স্যাঙ্কচুয়ারিকেই বিদেশ থেকে আমদানিকৃত চিতাদের বসবাসের উপযুক্ত করে তোলার কাজে হাত দিল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের এক আধিকারিক বিষয়টি খোলসা করেছেন। (Madhya Pradesh News)


নমিবিয়া থেকে আনা দুই স্ত্রী চিতা সম্প্রতি মোট সাতটি শাবকের জন্ম দিয়েছে। আপাতত নিরাপত্তার ঘেরাটোপেই রাখা হয়েছে চিতা শাবকগুলিকে। আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটলে তবেই জঙ্গলে ছাড়া হবে তাদের। ফেব্রুয়ারি মাসে ভারেত পৌঁছে যাবেন দক্ষিণ আফ্রিকার বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞরাও। সব ঠিক থাকলে গাঁধী সাগর বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যই চিতাদের দ্বিতীয় আশ্রয়স্থল হয়ে উঠবে।


আরও পড়ুন: I.N.D.I.A Alliance: অধীরের জন্যই একা চলার সিদ্ধান্ত মমতার? প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দিকে আঙুল ডেরেকের


সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় সরকারের বন পরিবেশ মন্ত্রকের বনবিভাগের অ্যাডিশনাল জেনারেল অফ ফরেস্ট এসপি যাদব এই কথা জানান। তিনি বলেন, “সব ঠিক থাকলেই আবারও বিদেশ থেকে চিতা আনার পথে এগনো হবে।” পরের ধাপে যে চিতা আনা হবে বিদেশ থেকে, সেগুলি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা হবে এবং গাঁধী সাগর অভয়ারণ্যে ছাড়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।


কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গাঁধী সাগর অভায়ারণ্যের ৯০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। সড়ক পথে কুনো ন্যাশনাল পার্ক থেকে গাঁধী সাগর অভয়ারণ্য যেতে ছয় ঘণ্টা সময় লাগে। ৩৬৮ স্কোয়্যার কিলোমিটার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত গাঁধী সাগর অভয়ারণ্য, যাকে ঘিরে রয়েছে অতিরিক্ত ২৫০০ স্কোয়্যার কিলোমিটার জায়গা।


এখনও পর্যন্ত যে তথ্য মিলেছে, গত ২০ জানুয়ারি কুনো ন্যাশনাল পার্কে নমিবিয়া থেকে আনা স্ত্রী চিতা ‘জ্বালা’ চারটি শাবকের জন্ম দিয়েছে। তার আগে, ‘আশা’ নামের অন্য একটি চিতা তিনটি শাবকের জন্ম দেয়। এর, ১০ মাস আগেও শাবকের জন্ম দেয় ‘জ্বালা’। গত বছর মার্চ মাসে চারটি শাবকের জন্ম দিয়েছিল সে, যার মধ্যে অত্যধিক গরমে তিনটির মৃত্যু হয়। আপাতত শাবক-সহ তাকে এনক্লোজারে রাখা হয়েছে। আবহাওয়ার উন্নতি হলে তবেই বের করা হবে। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে কুনো ন্যাশনাল পার্কে চিতা শাবকের সংখ্যা আট। পাশাপাশি ছয়টি পুরুষ এবং সাতটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী চিতা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত সেখানে ১০টি চিতার মৃত্যুও হয়েছে।