কোন্টা: পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হল ১০ জন মাওবাদী (Maoists Encounter)। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বস্তারের কোন্টার ভেজজি এলাকায়। ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করেছেন স্থানীয় পুলিশ সুপার কিরণ চহ্বান। ঘটনাস্থল থেকে ইনসাস রাইফেল, একে-৪৭, সেল্ফ লোডিং রাইফেল সহ আরও বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের কাছে খবর আসে মাওবাদীদের একটি দল ওড়িশা থেকে ছত্তিশগড়ে প্রবেশ করছে। এই খবর পাওয়ার পরেই ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের তরফে অভিযান চালানো হয়।
এপ্রসঙ্গে বস্তারের ইন্সপেক্টর জেনারেল পি সুন্দররাজ এনকাউন্টারের কথা নিশ্চিত করে জানান, এখনও পর্যন্ত ঠিক কতজন মাওবাদী খতম হয়েছে ও কত অস্ত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে তা সঠিক ভাবে জানা যায়নি। এখন ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তা শেষ হলেই বিস্তারিত তথ্য দেওয়া সম্ভব হবে।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গেছে, শুক্রবার সকালে ওড়িশা থেকে ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের একটি দল প্রবেশ করছে শুনে সুকমা জেলার ভেজজি পুলিশ স্টেশন এলাকার পার্বত্য এলাকায় অবস্থিত কোরাজুগডা, দান্তেসপুরম, নাগারাম এবং ভাণ্ডারপাডার গ্রামে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিলেন ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের জওয়ানরা। সেই সময়ে মাওবাদীদের সঙ্গে তাঁদের গুলির লড়াই হয়।
এই অভিযান প্রসঙ্গে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাঁই জানান, তাঁর সরকার নকশালবাদকে সম্পূর্ণ নির্মূল করার জন্য জিরো টলারেন্স পলিসি নিয়েছে। তাঁর সরকার বস্তার এলাকার নাগরিকদের সুরক্ষা, শান্তি ও উন্নয়নের জন্য সবরকমের চেষ্টা চালাচ্ছে। ওই এলাকায় ফের শান্তি ফিরবে বলেই বিশ্বাস করে তাঁর প্রশাসন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত মাসে ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর-দান্তেওয়াড়া সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষীদের গুলিতে খতম হয় ৩১ জন মাওবাদী। ঘটনাস্থল থেকে একে-৪৭ সহ একাধিক আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়, এই এনকাউন্টারটি মাওবাদীদের খতম করার জন্য এতদিনের মধ্যে সর্ববৃহৎ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।