আন্তোফাগাস্তা: ফের প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল চিলি। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৩ । চিলির স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল সাতটা ২০ মিনিট নাগাদ সবথেকে বেশি কম্পন অনুভূত হয়েছে চিলি-আর্জেন্তিনা সীমান্তে অবস্থিত  আন্তোফাগাস্তা শহরে। এমনটাই জানানো হয়েছে ইউরোপিয়ান-মেডিটেরিয়য়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের তরফে। প্রবল ভূকম্পনের ফলে নিমিষে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আন্তোফাগাস্তা শহরে। প্রাণের ভয় লোকজন বাড়ি ছেড়ে বাইরে ফাঁকা জায়গায় বেরিয়ে আসেন। তবে এখনও পর্যন্ত প্রবল এই ভূমিকম্পের ফলে কারও প্রাণহানি বা জখম হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। পাওয়া যায়নি সম্পত্তির ক্ষতির খতিয়ানও।


 






 ইউরোপিয়ান-মেডিটেরিয়য়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, ভূকম্পনের উৎসস্থল ছিল চিলির উপকূলীয় শহর আন্তোফাগাস্তা থেকে ২৬৫ কিলোমিটার পূর্বে, মাটির ১২৬ কিলোমিটার নিচে।


>আরও পড়ুন: টেলিভিশন চ্যানেলের অফিসেও হামলা, সম্প্রচার বন্ধ, প্রাণ গেল স্কুলপড়ুয়ারও, বাংলাদেশে মৃত বেড়ে ৩৯


এপ্রসঙ্গে চিলির রাষ্ট্রপতি গ্র্যাবিয়েল বোরিক নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে টুইট করেন, আমি ইতিমধ্যেই আঞ্চলিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাঁদের কাছ থেকে বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাইনি। তবে বিভিন্ন দল এই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এএফপি সূত্রে জানা গেছে, প্রবল ভূম্পন হলেও এখনও পর্যন্ত সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়নি। 


আরও পড়ুন: Oil Tanker Capsizes Off Oman: ওমান উপকূলের কাছে দুর্ঘটনা, সমুদ্রে উল্টে গেল তেলের ট্যাঙ্কার, নিখোঁজ ১৩ ভারতীয়


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই বছরের জানুয়ারি মাসে ৫.৩ মাত্রার ভূমিকম্প হয়ে ছিল চিলির উত্তরপ্রান্তে অবস্থিত তারাপাকা এলাকায়। ভূকম্পনের উৎসস্থল ছিল মাটির ১৮৮ কিমি গভীরে।


চিলি প্রশান্ত মহাসাগরের তথাকথিত রিং অফ ফায়ার এলাকার মধ্যে অবস্থিত। এই এলাকায় প্রায়শই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। ২০১০ সালে ৮.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের সুনামি হয়েছিল চিলিতে। তাতে মৃত্যু হয় ৫২৬ জনের।  তবে আজকের ভূমিকম্পে কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Narendra Modi: সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাইকে ছাপিয়ে গেলেন মোদি, অনুগামীর সংখ্যায় ধারেকাছে নেই কেউ