নয়াদিল্লি : CAA অর্থাৎ, Citizenship Amendment Act। ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে সংশোধন করে, ২০১৯ সালে, দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে CAA  ( The Citizenship (Amendment) Act, 2019 ) পাস করিয়েছিল কেন্দ্রের মোদি সরকার। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে বিতাড়িত হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের জন্যই CAA ( Hindu, Sikh, Buddhist, Jain, Parsi, or Christian communities from Afghanistan, Bangladesh, or Pakistan )। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, নাগরিকত্ব (সংশোধনী) নিয়ম, ২০২৪ অনুসারে কোনও ব্যক্তি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। একটি ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে সম্পূর্ণ অনলাইনে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।  


২০১৯ সালের Citizenship (Amendment) Act এর সঙ্গে ১৯৫৫ র Citizenship Act, ১৯৫৫ র ফারাক কোথায় ? 

১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছিল, নাগরিকত্ব পেতে টানা এক বছর ভারতে থাকতে হবে। এ ছাড়াও বিগত ১৪ বছরের মধ্যে ১১ বছর ভারতে থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু সংশোধনী আইনে সেই ১১ বছরের সময়কাল কমিয়ে পাঁচ বছর করা হয়েছে।
০১৯-এর ১২ ডিসেম্বর, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের স্বাক্ষরের পর আইনে পরিণত হয় CAA। 

মোদি সরকারের আনা এই সংশোধনী আইন অনুযায়ী, হিন্দু, শিখ, পার্সি, বৌদ্ধ, জৈন, ও খ্রিষ্টানরা যাঁরা ২০১৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বরের আগে আশ্রয় চেয়েছিলেন এবং ভারতে ৫ বছর বাস করলেই তাঁরা এ দেশে নাগরিকত্বের জন্য আবেদনের যোগ্য হবেন।






বিজেপির যুক্তি, CAA চালুর ফলে,  



  • নাগরিকত্বের আইনি বাধা দূর হবে।

  • শরণার্থীদের একটি মর্যাদাপূর্ণ জীবন দেওয়া যাবে।

  • শরণার্থীদের সাংস্কৃতিক, ভাষাগত এবং সামাজিক পরিচয় রক্ষা করবে।

  • নিশ্চিত করা যাবে শরণার্থীদের অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, অবাধ চলাচল এবং সম্পত্তি কেনার মতো অধিকার।    

    ২০১৪ সাল থেকেই বারবার বাংলায় এসে নাগরিকত্ব নিয়ে সরব হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি থেকে অমিত শাহ। ২০১৯ সালে দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা CAA পাস করায় মোদি সরকার।  

    আরও পড়ুন :

    CAA কার্যকর, বাংলার ভোটে কতটা প্রভাব ? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা ?