LIVE UPDATES: মধ্যরাতে লোকসভায় পাস নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, টুইটারে উচ্ছ্বাসপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর, অভিনন্দন জানালেন অমিত শাহকে

এর ফলে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে উদ্বাস্তু হওয়া অমুসলিমরা ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবেন।

ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ Last Updated: 10 Dec 2019 12:29 AM
অনেক বিতর্কের পর লোকসভায় পাস হয়ে গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি)। ৩১১-৮০ ভোটে পাস হল এই বিল। আর তারপরই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন নরেন্দ্র মোদি। পরপর দুটি টুইট করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী প্রথমে টুইট করেন, ‘সমৃদ্ধ আর বিস্তারিত আলোচনার পর নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হওয়ায় আমি ভীষণ খুশি। যাঁরা বিলটিকে সমর্থন করলেন, সেই সমস্ত সাংসদ এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে ধন্যবাদ। ভারবর্ষের শতাব্দীপ্রাচীন মানবিক বোধ এবং আত্মীকরণের সরণি মেনেই এই বিল।’ দ্বিতীয় টুইটে তিনি লেখেন, ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের সমস্ত খুঁটিনাটি খুব সহজে বুঝিয়ে বলার জন্য আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও অভিনন্দন জানাব। আলোচনার সময় সাংসদদের সমস্ত প্রশ্নের বিস্তারিত জবাবও দিয়েছেন উনি।’ সব মিলিয়ে বিজেপি শিবিরে যুদ্ধজয়ের আবহ।
১২ ঘণ্টা বিতর্কের পর লোকসভায় পাস নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি)। পক্ষে পড়ে ৩১১টি ভোট। বিপক্ষে যায় ৮০টি ভোট।
এনআরসি ও সিএবি-কে এক সারিতে রেখে দেখাটা ঠিক নয়, সংসদে বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিরোধীদের তোলা অভিযোগকেও খারিজ করলেন তিনি। বিরোধীরা এক যোগে বলেছিল, ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগের চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। অমিত বলেন, ‘মোদি সরকারের একমাত্র ধর্ম হল দেশের সংবিধান।’ পাশাপাশি তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ভারতে কোনও স্থান নেই। কংগ্রেসের প্রবল সমালোচনা করেছেন অমিত। বলেছেন, ‘জিন্নাহ যখন দুই দেশের তত্ত্ব নিয়ে এসেছিলেন, কেন কংগ্রেস সেটা মেনে নিয়েছিল?’

নাগরিকত্ব সংশোধন বিলের ওপর লোকসভায় বিতর্কের মধ্যেই নাটকীয় ভাবে বিলের কপি ছিঁড়ে প্রতিবাদ আসাদুদ্দিন ওয়েইসির। হায়দরাবাদের এআইএমআইএম সাংসদ এই বিল ভারতে বিভাজন ঘটাবে বলে সওয়াল করেন। বলেন, দেশকে ফের টুকরো করতেই এই আইন তৈরি করা হচ্ছে। সংবিধানের প্রস্তাবনা রচনার সময় ভগবানের নামে তা করা হয়নি। তখনকার সঙ্গে এখনকার পার্থক্য দেখুন। আমরা এখন একটা আইন আনছি। বিলের কপি ছেঁড়ার সময় মহাত্মা গাঁধীর প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, উনি যেমন দক্ষিণ আফ্রিকায় নাগরিকত্ব রেজিস্টার ছিঁড়েছিলেন, সেভাবেই আমিও এই বিল টুকরো টুকরো করছি।
শিবসেনা বিনায়ক রাউতের দাবি, অভিবাসনকারীদের এদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করা হলে দেশের সম্পদের ওপর চাপ পড়বে, সরকার নাগরিকত্ব (সংশোধন) বিলে বিষয়টি স্পষ্ট উল্লেখ করুক। বিলের আওতা থেকে শ্রীলঙ্কাকে বাদ দেওয়ার কোনও যুক্তি নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরি বললেন, আমরা নাগরিকত্ব সংশোধন বিলের বিরোধিতা করছি কারণ এটি বৈষম্যমূলক। নির্যাতিত বিপন্ন উদ্বাস্তুদের স্বার্থ রক্ষা করা যায় তাঁদের জায়গা করে দেওয়ার জন্য চলতি আইনি সংশোধন করে আলাদা বিধিব্যবস্থা করেই। এজন্য আলাদা বৈষম্যমূলক আইনের দরকার হয় না।
কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরি বললেন, আমরা নাগরিকত্ব সংশোধন বিলের বিরোধিতা করছি কারণ এটি বৈষম্যমূলক। নির্যাতিত বিপন্ন উদ্বাস্তুদের স্বার্থ রক্ষা করা যায় তাঁদের জায়গা করে দেওয়ার জন্য চলতি আইনি সংশোধন করে আলাদা বিধিব্যবস্থা করেই। এজন্য আলাদা বৈষম্যমূলক আইনের দরকার হয় না।
কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরি বললেন, আমরা নাগরিকত্ব সংশোধন বিলের বিরোধিতা করছি কারণ এটি বৈষম্যমূলক। নির্যাতিত বিপন্ন উদ্বাস্তুদের স্বার্থ রক্ষা করা যায় তাঁদের জায়গা করে দেওয়ার জন্য চলতি আইনি সংশোধন করে আলাদা বিধিব্যবস্থা করেই। এজন্য আলাদা বৈষম্যমূলক আইনের দরকার হয় না।
কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরি বললেন, আমরা নাগরিকত্ব সংশোধন বিলের বিরোধিতা করছি কারণ এটি বৈষম্যমূলক। নির্যাতিত বিপন্ন উদ্বাস্তুদের স্বার্থ রক্ষা করা যায় তাঁদের জায়গা করে দেওয়ার জন্য চলতি আইনি সংশোধন করে আলাদা বিধিব্যবস্থা করেই। এজন্য আলাদা বৈষম্যমূলক আইনের দরকার হয় না।
জনগণনার সময় শুধু রেশন কার্ডের একটা কপি দিয়ে দেবেন, নাগরিকত্ব বিল নিয়ে খড়গপুরের সভা থেকে হুঙ্কার মমতার। শরণার্থীদের রেশন কার্ডও লাগবে না, লাইনেও দাঁড়াতে হবে না। সংসদে পাল্টা অমিত শাহ।
জনগণনার সময় শুধু রেশন কার্ডের একটা কপি দিয়ে দেবেন, নাগরিকত্ব বিল নিয়ে খড়গপুরের সভা থেকে হুঙ্কার মমতার। শরণার্থীদের রেশন কার্ডও লাগবে না, লাইনেও দাঁড়াতে হবে না। সংসদে পাল্টা অমিত শাহ।
জনগণনার সময় শুধু রেশন কার্ডের একটা কপি দিয়ে দেবেন, নাগরিকত্ব বিল নিয়ে খড়গপুরের সভা থেকে হুঙ্কার মমতার। শরণার্থীদের রেশন কার্ডও লাগবে না, লাইনেও দাঁড়াতে হবে না। সংসদে পাল্টা অমিত শাহ।
জনগণনার সময় শুধু রেশন কার্ডের একটা কপি দিয়ে দেবেন, নাগরিকত্ব বিল নিয়ে খড়গপুরের সভা থেকে হুঙ্কার মমতার। শরণার্থীদের রেশন কার্ডও লাগবে না, লাইনেও দাঁড়াতে হবে না। সংসদে পাল্টা অমিত শাহ।
জনগণনার সময় শুধু রেশন কার্ডের একটা কপি দিয়ে দেবেন, নাগরিকত্ব বিল নিয়ে খড়গপুরের সভা থেকে হুঙ্কার মমতার। শরণার্থীদের রেশন কার্ডও লাগবে না, লাইনেও দাঁড়াতে হবে না। সংসদে পাল্টা অমিত শাহ।
জনগণনার সময় শুধু রেশন কার্ডের একটা কপি দিয়ে দেবেন, নাগরিকত্ব বিল নিয়ে খড়গপুরের সভা থেকে হুঙ্কার মমতার। শরণার্থীদের রেশন কার্ডও লাগবে না, লাইনেও দাঁড়াতে হবে না। সংসদে পাল্টা অমিত শাহ।
জনগণনার সময় শুধু রেশন কার্ডের একটা কপি দিয়ে দেবেন, নাগরিকত্ব বিল নিয়ে খড়গপুরের সভা থেকে হুঙ্কার মমতার। শরণার্থীদের রেশন কার্ডও লাগবে না, লাইনেও দাঁড়াতে হবে না। সংসদে পাল্টা অমিত শাহ।
লোকসভায় অমিত শাহ আরও বলেন, ‘যদি প্রমাণ করতে পারেন এই বিল ভেদাভেদ করছে, তাহলে আমি বিল নিয়ে চলে যাব। বাংলা, উত্তর পূর্বের শরণার্থীদের চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। তাঁরা যেদিন থেকে এসেছেন ভারতে, সেই সময় থেকেই তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। উত্তর পূর্বের মানুষদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। উত্তর পূর্বের মানুষরা ভয় পেয়ে কোনও আন্দোলন করবেন না।’
‘আমরা বদল স্বীকার করি। আমরা ধর্মনিরপেক্ষতা স্বীকার করি। কারও অধিকার হনন করা হবে না। সীমান্তে অনুপ্রবেশকারীদের ঢোকা বন্ধ করতে হবে। সচেষ্ট হতে হবে রাজ্যগুলিকে। বহু মানুষ নরকের জীবন যাপন করছেন। ১৯৪৭ সালের পর যে সব শরণার্থী এসেছেন, তাঁদের ভারত স্বীকার করেছে। মনমোহন সিংহ, লালকৃষ্ণ আডবাণী পাকিস্তান থেকেই এসেছিলেন। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর সব শরণার্থীদের ভারত আশ্রয় দিয়েছিল। ১৯৮৫ সালে অসমে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছিল। বাংলার সাংসদরাও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে সমর্থন করুন। এই বিল কোনও ভেদাভেদ করে না। এই বিল কারও অধিকার ছিনিয়ে নেবে না। পাকিস্তান, আফগানিস্থান, বাংলাদেশ থেকে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। যাঁরা নাগরিকত্ব পেতে চায়, তাঁদের বাধা দেবেন না,’ বাংলার সাংসদদের উদ্দেশে বললেন অমিত শাহ।
‘আমরা বদল স্বীকার করি। আমরা ধর্মনিরপেক্ষতা স্বীকার করি। কারও অধিকার হনন করা হবে না। সীমান্তে অনুপ্রবেশকারীদের ঢোকা বন্ধ করতে হবে। সচেষ্ট হতে হবে রাজ্যগুলিকে। বহু মানুষ নরকের জীবন যাপন করছেন। ১৯৪৭ সালের পর যে সব শরণার্থী এসেছেন, তাঁদের ভারত স্বীকার করেছে। মনমোহন সিংহ, লালকৃষ্ণ আডবাণী পাকিস্তান থেকেই এসেছিলেন। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর সব শরণার্থীদের ভারত আশ্রয় দিয়েছিল। ১৯৮৫ সালে অসমে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছিল। বাংলার সাংসদরাও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে সমর্থন করুন। এই বিল কোনও ভেদাভেদ করে না। এই বিল কারও অধিকার ছিনিয়ে নেবে না। পাকিস্তান, আফগানিস্থান, বাংলাদেশ থেকে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। যাঁরা নাগরিকত্ব পেতে চায়, তাঁদের বাধা দেবেন না,’ বাংলার সাংসদদের উদ্দেশে বললেন অমিত শাহ।
‘আমরা বদল স্বীকার করি। আমরা ধর্মনিরপেক্ষতা স্বীকার করি। কারও অধিকার হনন করা হবে না। সীমান্তে অনুপ্রবেশকারীদের ঢোকা বন্ধ করতে হবে। সচেষ্ট হতে হবে রাজ্যগুলিকে। বহু মানুষ নরকের জীবন যাপন করছেন। ১৯৪৭ সালের পর যে সব শরণার্থী এসেছেন, তাঁদের ভারত স্বীকার করেছে। মনমোহন সিংহ, লালকৃষ্ণ আডবাণী পাকিস্তান থেকেই এসেছিলেন। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর সব শরণার্থীদের ভারত আশ্রয় দিয়েছিল। ১৯৮৫ সালে অসমে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছিল। বাংলার সাংসদরাও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে সমর্থন করুন। এই বিল কোনও ভেদাভেদ করে না। এই বিল কারও অধিকার ছিনিয়ে নেবে না। পাকিস্তান, আফগানিস্থান, বাংলাদেশ থেকে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। যাঁরা নাগরিকত্ব পেতে চায়, তাঁদের বাধা দেবেন না,’ বাংলার সাংসদদের উদ্দেশে বললেন অমিত শাহ।
বিল পেশের পক্ষে ভোট দিয়েছে শিবসেনা।
লোকসভায় পেশ হল নাগরিকত্ব বিল। পক্ষে ভোট পড়েছে ২৯৩টি, বিপক্ষে ৮২টি।
যদি কোনও ইসলাম ধর্মাবলম্বী নিয়ম মেনে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন, তবে সেই আবেদনের ওপর বিচার করা হবে।
কংগ্রেস দেশকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করে, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার। বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, পাকিস্তানের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। সেখানে মুসলিমদের ওপর অত্যাচার হয় না। বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিলের তীব্র বিরোধিতায় আসাদউদ্দিন ওয়াইসি, বললেন নাগরিকত্ব বিল সংবিধান, মৌলিক অধিকার ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপন্থী। বিল যদি আটকানো না হয়, তবে অমিত শাহের নাম হিটলার ও ইজরায়েলের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেন গুরিয়নের সঙ্গে উচ্চারিত হবে।
বিলের বিরোধিতা করার সিদ্ধান্ত নিল আম আদমি পার্টি।
এই বিল .০১ শতাংশও সংখ্যালঘুদের বিপক্ষে নয়, বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিলের বিরোধিতা করলেন তৃণমূলের সৌগত রায়।
বিলের ওপর যাবতীয় প্রশ্নের জবাব দিতে তৈরি, বললেন অমিত শাহ।
আমরা ধর্মনিরপেক্ষ দেশে বাস করি, ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া ঠিক নয়, বললেন অধীর চৌধুরী।
সাংসদদের উপস্থিত থাকার জন্য হুইপ জারি করেছে বিজেপি। হুইপ জারি করেছেন মমতা, সনিয়াও।

প্রেক্ষাপট

নয়াদিল্লি: বিরোধীদের তীব্র আপত্তি ও উত্তর পূর্বাঞ্চলে বিক্ষোভের মধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আজ লোকসভায় পেশ করতে চলেছেন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, এর ফলে অনুপ্রবেশ সমস্যায় পাকাপাকিভাবে লাগাম পরানো যাবে।

৬০ বছরের পুরনো নাগরিকত্ব আইনে সংশোধনী সংক্রান্ত বিলটি আজ লোকসভায় পেশ করবেন অমিত শাহ। প্রথমে আলোচনা হবে, তারপর ভোটাভুটি। এর ফলে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে উদ্বাস্তু হওয়া অমুসলিমরা ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবেন। লোকসভায় বিলটি সহজেই পাশ করাতে পারবে কেন্দ্র, সম্ভবত শিবসেনাও বিলটি সমর্থন করবে। রাজ্যসভাতেও তা উতরে যাবে বলে সরকারের আশা।

উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ মনে করেন, এই বিল তাঁদের জমির ওপর অধিকার খর্ব করবে, আঘাত হানবে জাতিসত্ত্বায়। নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন আগামীকাল এই বিলের বিরুদ্ধে ১১ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে, তাদের দাবি, এই বিল ১৯৮৫-র অসম চুক্তি বাতিল করে দেবে। এই চুক্তি বলছে, ১৯৭১-র ২৪ মার্চের পর এ দেশে যাঁরা এসেছেন, ধর্মনির্বিশেষে তাঁরা সকলেই বেআইনি অনুপ্রবেশকারী, তাঁদের বার করে দিতে হবে। আসু সহ অসমের প্রভাবশালী ছাত্র সংগঠনগুলি নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে পুরোদস্তুর আন্দোলনের রাস্তায় হাঁটার হুমকি দিয়েছে। ১৯৫৫-র যে প্রকৃত নাগরিকত্ব আইন বলছে, ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে হলে শেষ ১৪ বছরের মধ্যে অন্তত ১১ বছর এ দেশে থাকতে হবে। এই সময়সীমা কমিয়ে অমুসলিমদের জন্য সময়টা ৫ বছর করা হচ্ছে নয়া নাগরিকত্ব বিলে। পাশাপাশি যতদিন তাঁরা নাগরিক্ব না পাচ্ছেন,ততদিন সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবে না।

বিরোধীরা বেশিরভাগই নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিল বৈষম্যমূলক বলে অভিযোগ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ধর্মনির্বিশেষে সবাইকে নাগরিকত্ব দিতে হবে, তা হলে তাঁরা এই বিল মানবেন। কিন্তু ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য হলে তৃণমূল তা মানবে না। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের বক্তব্য, এই বিল অসাংবিধানিক, ভারত নামক ধারণার বিরুদ্ধে। এর ফলে ভারত হিন্দু পাকিস্তানে পরিণত হবে বলে তাঁর দাবি।

যদিও বিজেপির বক্তব্য, এই বিল প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। যদিও বিক্ষোভ আন্দোলনের জেরে কিছু কিছু এলাকা বাদ দেওয়া হচ্ছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের যে সব জায়গায় যেতে ইনার লাইন পারমিট লাগে, সে সব জায়গায় এই বিল প্রযোজ্য হবে না বলে খবর। একই নিয়ম যে সব এলাকায় ষষ্ঠ তফশিল প্রযোজ্য, সে সব এলাকার পক্ষেও। প্রথম নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলেও এই বিলটি পেশ করা হয়েছিল কিন্তু উত্তর পূর্বাঞ্চলে বিক্ষোভের জেরে লোকসভায় পাশ করা গেলেও তা রাজ্যসভায় পেশ করা হয়নি। ফলে বিলটি তামাদি হয়ে যায়।

- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -

TRENDING NOW

© Copyright@2024.ABP Network Private Limited. All rights reserved.