কোলার: নীরব মোদি, ললিত মোদি এবং নরেন্দ্র মোদিকে এক সারিতে বসিয়ে আক্রমণ করেছিলেন চার বছর আগে (Karnataka Assembly Elections)। সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাংসদ পদ গিয়েছে তাঁর। রবিবার সেই কোলারে গিয়েই ফের আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা গেল কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi)। লোকসভায় গৌতম আদানিকে (Gautam Adani) নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন বলেই চরম মূল্য চোকাতে হয়েছে, মন্তব্য করলেন রাহুল।


কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, রাজনৈতিক উত্তাপ ততই বাড়ছে


কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, দক্ষিণের ওই রাজ্যের রাজনৈতিক উত্তাপ ততই বাড়ছে। সেই আবহেই রবিবার কোলারে কংগ্রেসের হয়ে জনসভা করেন রাহুল। সেখানে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। পাশাপাশি আদানি-কাণ্ডে সাংসদ পদ যাওয়া নিয়েও মন্তব্য করেন রাহুল।


এ দিন কোলারের জনসভায় রাহুল বলেন, “সংসদে বলেছিলাম, আদানির একটি ভুয়ো সংস্থা রয়েছে। ২০ হাজার কোটি কে দিল, প্রশ্ন তুলেছিলাম। ইতিহাসে এই প্রথম বার ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারই সংসদ চলতে দিল না। সাধারণত বিরোধীরা সংসদের কাজে বাধা দেন।”


আরও পড়ুন: Pulwama Terror Attack: চাইলেও বিমান দেওয়া হয়নি CRPF-কে, পুলওয়ামায় ঢিলেমি ছিল নিরাপত্তায়! ফের প্রশ্নের মুখে কেন্দ্র


লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার ভূমিকা নিয়েও এ দিন প্রশ্ন ছুড়ে দেন রাহুল। বলেন, “স্পিকারকে দু’-দু’টি চিঠি লিখেছিলাম। জানিয়েছিলাম, আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগে প্রতিক্রিয়া জানাতে চাই। কিন্তু আমাকে কোনও সুযোগই দেওয়া হল না। উনি হেসে বললেন, ‘আমি কিছু করতে পারব না’।”


লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রাহুলের


রাহুল আরও বলেন, “আমাকে স্পিকার চা খেতে ডেকেছিলেন। সেখানে নাকি বোঝাবেন! আমি বললাম, ‘আপনি সংসদের স্পিকার। সংসদে যা ভাল মনে করেন করতে পারেন। নিজের কাজ কেন করছেন না আপনি?’ আসলে সংসদে আদানি ইস্যু তোলা নিয়ে ভীত উনি। আর তার পরই সাংসদ পদ খারিজ হল আমার।”


২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে কোলারেই মোদি পদবী নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন রাহুল। দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নীরব মোদি, ললিত মোদির সঙ্গে এক আসনে বসিয়ে নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। সেই সময় রাহুলের ওই মন্তব্যকে ধরে অপরাধমূলক মানহানির মামলা করেন গুজরাতের এক বিজেপি নেতা। সেই মামলাতেই সম্প্রতি সুরতের একটি আদালত দোষী সাব্যস্ত করে রাহুলকে। দু'বছরের সাজা শোনায় তাঁকে। তার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়া হয়। খালি করতে বলা হয় সরকারি বাসভবনে। তবে রাহুলের দাবি, সংসদে আদানিকে প্রদত্ত সুবিধা, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সমীকরণের কথা তুলে ধরাতেই পদক্ষেপ করা হয়েছে, যাতে তাঁকে সংসদের বাইরে রাখা যায়।