নয়াদিল্লি: রাজনৈতিক জীবনের টানাপোড়েন নিয়ে টানাপোড়েন চলছেই। তার মধ্যেই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খবরে কংগ্রেস নেতা সচিন পায়লট। দীর্ঘ দু'দশকের দাম্পত্যে ইতি টেনেছেন রাজস্থানের কংগ্রেস নেতা সচিন পায়লট। নিজে সেকথা খোলসা করেননি তিনি। বরং নির্বাচনী হলফনামায় যে তথ্য জমা দিয়েছেন তিনি, তাতেই সারা আবদুল্লার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের কথা জানিয়েছেন। (Sachin Pilot Divorced)
সামনেই রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে নিয়মমাফিক হলফনামা জমা দিতে হয় ভোটে দাঁড়ানো নেতা-মন্ত্রীদের। সেই মতো হলফনামা জমা দিয়েছেন সচিনও। সেখানে জীবনসঙ্গী সম্পর্কে তথ্যপ্রদানের যে জায়গা রয়েছে, সেখানে নিজেকে বিবাহবিচ্ছিন্ন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। সারা আবদুল্লার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর দাম্পত্য নিয়ে জল্পনা ছিলই। এই প্রথম তাতে সিলমোহর দিলেন সচিন। (Sara Abdullah)
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লার মেয়ে সারা। ২০০৪ সালে সচিনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তাঁদের দুই পুত্রসন্তানও রয়েছেন, আরান এবং বিহীন। ২০১৪ সালেও তাঁদের দাম্পত্যে ফাটলের খবর সামনে আসে। সেবছর লোকসভা নির্বাচনের সময় সেই জল্পনা খারিজ করে দেন সচিন।
আরও পড়ুন: Mahua Moitra: আদানিদের নিয়ে প্রশ্ন আটকানোই কি লক্ষ্য, সাংসদপদ কি খারিজ হবে তাঁর? মুখ খুললেন মহুয়া
সচিন এবং সারা, দু’জনের পড়াশোনাই লন্ডনে। সেখানেই চেনাশোনা ভাললাগা এবং পরবর্তী কালে ভালবাসায় পরিণত হয় বলে জানা যায়। শোনা যায়, দুই পরিবারের তরফে গোড়ায় এই বিয়েতে মত ছিল না কারও। কিন্তু ধৈর্য সহকারে সকলকে রাজি করান সচিন এবং সারা। সেই বিয়েই ভেঙে গিয়েছে বলে এবার জানা গেল। তবে বিবাহবিচ্ছেদ হলেও, দুই ছেলের খরচ-খরচা তিনিই সামলান বলে নির্বাচনী হলফনামায় জানিয়েছেন সচিন। এতদিন গোটা বিষয়টিই অগোচরে ছিল।
বিয়ের পরই রাজনীতিতে সাফল্যের মুখ দেখেন সচিন। ২০০৯ সালে অজমের থেকে প্রথম বার সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে টোঙ্ক থেকে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হন সচিন। রাজস্থানের সবচেয়ে কমবয়সি উপমুখ্যমন্ত্রী তিনি। কিন্তু গত কয়েক বছরে রাজস্থান কংগ্রেসের অন্দরে যে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে, তার মূল চরিত্র সচিন এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত। মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে দু'জনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে।
নির্বাচনী হলফনামায় নিজের সম্পত্তির খুঁটিনাটি তথ্যও তুলে ধরেছেন সচিন। তিনি যে তথ্য দিয়েছেন, তা হল, গত পাঁচ বছরে তাঁর সম্পত্তি প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। ২০১৮ সালে তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৩.৮ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে তা বেড়ে ৭.৫ কোটি টাকা হয়েছে।