নয়া দিল্লি: করোনা চিকিৎসায় বাদ পড়ল হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও আইভারমেক্টিন। গোড়ায় বহুল ব্যবহার হলেও, শেষ পর্যন্ত ট্রিটমেন্ট প্রোটোকল থেকে দুটি ওষুধের নাম বাদ দিল ICMR-এর কোভিড বিষয়ক জাতীয় টাস্ক ফোর্স।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একাংশের কথায়, এই দুটি ওষুধ করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যথেষ্ট কার্যকরী, এমন কোনও তথ্য সামনে আসেনি। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন মূলত ম্যালেরিয়ার ওষুধ। আইভারমেক্টিন পরজীবী সংক্রমণ ঠেকাতে কার্যকরী। গত মে মাসে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ডিরেক্টর জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিসেস গাইডলাইন প্রকাশ করে করোনা চিকিৎসায় দুটি ওষুধের ব্যবহার বন্ধ করার কথা জানিয়েছিল। তখন সহমত পোষণা না করলেও, শেষ পর্যন্ত বাতিলের রাস্তাতেই হাঁটল ICMR।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পরেই অবশেষে দুই ওষুধকে ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আইসিএমআর-র তরফে, এমনটাই খবর। অ্যান্টি-প্যারাসাইটিক ওষুধ আইভারমেক্টিনে যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমে না তা আগে অবশ্য এইমস জানিয়েছিল।
আরও পড়ুন, পাহাড়ের গুহায় পূজিত হন লালজলের 'দেবীদুর্গা', রোমহর্ষক সেই উৎসবের প্রাচীন কাহিনি
এদিকে, আজও সাতশো পেরিয়েছে রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ। শুক্রবার প্রকাশিত রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪৪ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৫,৬৪,৮৮৩ জন। সরকারি হিসেব অনুযায়ী ২৪ সেপ্টেম্বর রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৭,৬৮৯ গতকালের তুলনায় ১৩ জন কম।
দেশে করোনায় দৈনিক মৃত্যু বাড়লেও, কমল আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শুক্রবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩১৮ জনের। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৩১ হাজার ৩৮২। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৪৬ হাজার ৩৬৮ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩৫ লক্ষ ৯৪ হাজার ৮০৩। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩ লক্ষ ১৬২। ১৮৮ দিনে সর্বনিম্ন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। দেশে এখনও পর্যন্ত ৩ কোটি ২৮ লক্ষ ৪৮ হাজার ২৭৩ জন সুস্থ হয়েছেন। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৩২ হাজার ৫৪২ জন।