নয়া দিল্লি: যত সময় এগোচ্ছিল, ততই জটিল হচ্ছিল দিল্লির পরিস্থিতি। ক্রমশ ধোঁয়াশার কালো চাদরে ঢাকছে রাজধানী। এদিকে এই গুরুতর পরিস্থিতিতে দিল্লি সরকারকেই বায়ুদূষণ মোকবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এই আবহে দিল্লির বাতাসের গুণগত মানবৃদ্ধির জন্য এবার একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার।
দূষণের জেরে দিল্লিতে লকডাউনের পরামর্শ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত কয়েকদিন ধরেই ধোঁয়াশায় ঢেকেছে রাজধানী। দূষণের বিপজ্জনক মাত্রায় উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের তরফে দিল্লি সরকারকে জানান হয়, "লকডাউনের মতো পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবতে পারেন। কেন্দ্রকে পরামর্শ সর্বোচ্চ আদালতের। গাড়ি, ধুলো, বাজি থেকে দূষণ ছড়াচ্ছে। এমন কিছু করুন, যাতে ২-৩ দিনে পরিস্থিতির উন্নতি হয়। সোমবার পর্যন্ত শুনানি স্থগিত, আপনারা ব্যবস্থা নিন। পরিস্থিতি এমন যে, আদালত কক্ষে আমাদের মাস্ক পরতে হচ্ছে"। সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে এমনই মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।
সর্বোচ্চ আদালতে সলিসিটর জেনারেলের দাবি, ফসল কেটে ফেলার পর অবশিষ্টাংশ পোড়ানোয় ধোঁয়া, পাঞ্জাবের কৃষকদের ব্যবস্থা নিতে হবে। কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে পাঞ্জাব সরকারকে। সুপ্রিম কোর্টে মন্তব্য সলিসিটর জেনারেলের। শুধু কৃষকদের উপর দোষ চাপাচ্ছেন, ৭০ শতাংশ দূষণের জন্য কে দায়ী? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির।
আরও পড়ুন, চিকিৎসা করাতে এসে থাপ্পড় খেলেন অন্তঃসত্ত্বা, কাঠগড়ায় চিকিৎসক
এরপরই, ৭ দিন স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত কেজরিওয়াল সরকারের। সোমবার থেকে ৭ দিন বন্ধ থাকবে স্কুল। আম আদমি সরকারের তরফে জানান হয়েছে, ‘বাড়িতে বসেই কাজ করবেন সরকারি কর্মীরা।" একই পথে চলার অনুরোধ বেসরকারি সংস্থাগুলিকে। পাশাপাশি,দিল্লিতে নির্মাণকাজ বন্ধ থাকবে, জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন,‘সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা চলছে।দূষণ পরিস্থিতি খারার হলে বন্ধ করতে হবে যানবাহন, নির্মাণকাজ। ’
গত কয়েকদিন ধরেই ধোঁয়াশায় ঢেকেছে রাজধানী। বায়ু মানের সূচক অনুযায়ী, গতকাল বিকেল ৪টে ফরিদাবাদে ছিল ৪৬০ পয়েন্টে, গাজিয়াবাদে ৪৮৬, গ্রেটার নয়ডা ৪৭৮, গুরুগ্রামে ৪৪৮, নয়ডা ৪৯৯ পয়েন্টে। ঘন ধোঁয়াশা আবছা সফদরজঙ সৌধ।