নয়াদিল্লি : করোনার (Corona) বুস্টার (Booster) তথা প্রিকশনারি ডোজ (Precautionary Dose) পেতে চলেছেন দেশের স্বাস্থ্যকর্মী (Health Workers) ও ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কার্সরা (Front Line Workers)। যে ডোজ পাবেন কো-মর্বিডিটি (Co-Morbidity) ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরাও। আগামী বছরের ১০ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে যে ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া শুরু হবে। বড়দিনের দিনে জাতির উদ্দেশ ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে ঘোষণা করেছেন। ৬০ বছরের বেশি যে ব্যক্তিদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শের ভিত্তিতে প্রিকশনারি ডোজ দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি।
বড়দিনের রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, 'করোনা ক্রমশ রূপ বদলে শক্তিশালী হয়েছে। যার জেরে কঠিন হয়েছে আমাদের পরীক্ষাও। তাই ঠিক করা হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মী-ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার্স ও কো-মর্বিডিটি থাকা ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী করোনার প্রিকশনারি ডোজ দেওয়া হবে।'
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে এদিন জানিয়েছেন, আগামী ৩ জানুয়ারী থেকে দেশজুড়ে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া শুরু হবে। কিশোর-কিশোরীদের ভ্যাকসিনেশন শুরু ও স্বাস্থ্যকর্মী-ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার্সদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার স্বকৃতিকে স্বাগত জানিয়েছে চিকিৎসক মহল। নরেন্দ্র মোদি তাঁর বক্তব্যের মাঝে জানান, চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি থেকে ভ্যাকসিনেশন শুরু করার পর থেকে প্রায় ১৪১ কোটি দেশবাসীকে এখনও পর্যন্ত করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের ৬১ শতাংশ বয়স্ক মানুষই করোনা ভ্যাকসিনের জোড়া ডোজই পেয়ে গিয়েছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। আর ৯০ শতাংশ ইতিমধ্যে অন্তত করোনা টিকার একটি ডোজ পেয়ে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন- ৩ জানুয়ারি থেকে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণ, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশে ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়ছে। ভারতেও বেশ কয়েকজন ওমিক্রন আক্রান্ত। ওমিক্রন নিয়ে অযথা ভয় পাবেন না, কিন্তু সতর্ক থাকবেন। এই সময় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। দেশে এই মুহূর্তে ১৮ লক্ষ আইসোলেশন বেড আছে। ১ লক্ষ ৪০ হাজার আইসিইউ বেড আছে দেশে। সবাইকে কোভিড বিধি মানতে হবে। ৬১ শতাংশের বেশি ভারতবাসী ভ্যাকসিনের ডাবল ডোজ পেয়েছেন। ৯০ শতাংশের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক ভারতবাসী প্রথম ডোজ পেয়েছেন। দেশে খুব দ্রুত ন্যাজাল ভ্যাকসিন, ডিএনএ ভ্যাকসিন আসবে। গত ১১ মাস ধরে ভারতে ভ্যাকসিনেশনের প্রক্রিয়া চলছে। করোনা কিন্তু এখনও যায়নি, তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’