এছাড়া কিছু মডেল প্রশ্ন বার করেছিল কাউন্সিল। সেগুলোও অভ্যাস করে রাখা জরুরি।
সঞ্জয় চক্রবর্তী, হেয়ার স্কুল, কলকাতা: সোমবার উচ্চমাধ্যমিকের বায়ো সায়েন্স পরীক্ষা। মুশকিল হল, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বায়ো সায়েন্স বই বলে তেমন কিছু নেই। তবে টেক্সট বুক নাম্বার দেওয়া কয়েকটা পাতলা বই পাওয়া যায়, সেগুলো সিলেবাস ধরে ধরে ইউনিট অনুযায়ী ভাল করে পড়তে হবে আর সলভ করতে হবে গত কয়েক বছরের প্রশ্নপত্র। ২০১৯-এর প্রশ্নপত্র এই তালিকা থেকে বাদ রাখা যায় অবশ্য। এছাড়া কিছু মডেল প্রশ্ন বার করেছিল কাউন্সিল। সেগুলোও অভ্যাস করে রাখা জরুরি। এমসিকিউ আর এসএকিউ থাকে প্রশ্নপত্রের পার্ট বি-তে। পার্ট এ-তে থাকে ২ নম্বরের ৫টি প্রশ্ন, ৩ নম্বরের ৯টি প্রশ্ন ও ৫ নম্বরের ৩টি প্রশ্ন। কিছু ক্ষেত্রে অলটারনেটিভ থাকে। এই প্রশ্নগুলি মূলত আসে ফার্স্ট ইউনিট, সেকেন্ড আর ফিফথ ইউনিট থেকে। ফার্স্ট ইউনিটের উত্তর পরীক্ষার্থীরা আগ্রহ নিয়ে লেখে, সেকেন্ড ইউনিট একটু বুঝে লিখতে হয় আর ফিফথ বেশ সোজা। যে কোনও একটা টেস্ট পেপার সলভ করলেই এমসিকিউ পারা যাবে। এবার আসা যাক লেখার কথায়। লেখার ক্ষেত্রে যে প্রশ্নে ২ নম্বর, তা ব্যাখ্যামূলক না হলে ২ পয়েন্টে উত্তর দিতে হবে, ৩ নম্বর হলে পয়েন্ট দিতে হবে ৩টি ও ৫ নম্বর হলে ৫টি। মাথায় রাখা দরকার, ২০১৫ সালে নতুন সিলেবাস চালু হওয়ার পর থেকে প্রশ্ন একবারও কঠিন আসেনি। হয়তো দু একটি প্রশ্ন একটু ঘুরিয়ে এসেছে কিন্তু তার জবাব থেকেছে বইয়ের মধ্যেই। অতএব শেষ মুহূর্তে খুব ভাল করে ঝালিয়ে নাও টেক্সট বই, পরীক্ষা অবশ্যই ভাল হবে।