হাওড়া: লোকসভা নির্বাচনে হাওড়ায় জয়ী হলেন তৃণমূলের প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় (Prasun Banerjee)। তিনি ৬ লক্ষ ২৬ হাজার ৪৯৩ ভোট পেয়েছেন। বিজেপি-র রথীন চক্রবর্তীকে ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪৮২ ভোটে হারিয়েছেন প্রসূন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন রথীন। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন সিপিএম-এর সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। তিনি ১ লক্ষ ৫২ হাজার ৫টি ভোট পেয়েছেন। (Howrah Loksabha Election Result) জয়ী হওয়ার পর মমতার প্রতিই কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন প্রসূন।


হাওড়ার রাজনীতিতে প্রসূনের প্রতিপত্তির কথা কারও অজানা নয়। সেই কথা মাথায় রেখে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও তাঁকেই টিকিট দেয় জোড়াফুল শিবির, যার তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই বাবুন। এমনকি প্রকাশ্যে বিদ্রোহও ঘোষণা করেন তিনি। নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রয়োজনে প্রসূনের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন বলে জানিয়ে দেন। (Howrah Election Result)


সেই নিয়ে বিতর্কের মধ্যে মমতা যদিই প্রসূনেরই পক্ষ নেন। ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও কড়া বার্তা দেন তিনি। মমতা জানান, ভাইয়ের জন্য অনেক বার অপ্রস্ততকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে তাঁকে। সব কথা প্রকাশ্যে বলতে চান না তিনি। কিন্তু তাঁর কোনও পরিবার নেই। একা লড়াই করে এই জায়গায় পৌঁছেছন। এর পরই সুরবদল করেন বাবুন। জানান, নির্দল প্রার্থী হতে চান না তিনি। মমতার ভাই হয়েই থাকতে চান। নির্বাচন চলাকালীন যদিও ফের বিতর্ক বাধে। কারণ বাবুন জানান, অজানা কারণে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ গিয়েছে তাঁর।


আরও পড়ুন: Dilip Ghosh : নতুন কেন্দ্রে জিতবেন ? গণনাকেন্দ্রে এসে কী বললেন দিলীপ ঘোষ?


বিগত কয়েক দশকে রাজ্য রাজনীতিতে যে পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে, হাওড়াতেও তার প্রভাব পড়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে হাওড়া থেকে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রসূন। বিজেপি-র রন্তিদেব সেনগুপ্ত, সিপিএম-এর সুমিত্র অধিকারী এবং কংগ্রেসের শুভ্র ঘোষকে পরাজিত করেছিলেন তিনি।


এর আগে, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও তৃণমূলের টিকিটে হাওড়ায় জয়ী হন প্রসূন। সেবার সিপিএম-এর শ্রীদীপ ভট্টাচার্যকে পরাজিত করেছিলেন তিনি।


গঙ্গার ওপারের হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রটি রাজ্য রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০১১-র আদমশুমারি অনুযায়ী, হাওড়ার জনসংখ্যা ২ কোটি ২১ লক্ষ ১২ হাজার ৪৪৭। তবে হাওড়ার মোট জনসংখ্যার ৯২.৯৬ শতাংশই শহুরে নাগরিক। তফসিলি নাগরিক ৯.০৪ শতাংশ, তফসিলি উপজাতি নাগরিক ০.৩ শতাংশ। হাওড়ার স্বাক্ষরতার হার ৮৩.৮৫ শতাংশ।