ওয়াশিংটন: বর্ষবরণের হইচই থিতোনোর আগেই নতুন বছর নিয়ে অশনি সঙ্কেত (Prediction) দিল ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড বা আইএমএফ (IMF)। চলতি বছরে বিশ্বের অর্থনীতির এক-তৃতীয়াংশই আর্থিক মন্দার (recession) কবলে পড়তে পারে, ভবিষ্যদ্বাণী আইএমএফ প্রধান কৃস্তালিনা জর্জিয়েভার (Kristalina Georgieva)। সেক্ষেত্রে গত বছরের তুলনায় ২০২৩ সালে আরও কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে বড় অংশের বাসিন্দাদের, পূর্বাভাস এমনই। 


কী বললেন আইএমএফ প্রধান?
কৃস্তালিনার পূর্বাভাস, চলতি বছরে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও চিনের আর্থিক বৃদ্ধির হার আরও স্লথ হতে পারে। তার ধাক্কা সামলাতে হবে কাতারে কাতারে মানুষকে। রবিবার এক খবরের চ্যানেলের অনুষ্ঠানে আইএমএফ প্রধান বলেন, 'এমনকি যে সব দেশে মন্দা হবে না, তাঁদেরও কোটি কোটি বাসিন্দাকে মন্দার জের পোহাতে হবে।' কেন? বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, এর অন্যতম কারণ ১০ মাস ধরে চলতে থাকা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। ফল? ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, সুদের হার চড়চড়িয়ে বাড়তে থাকা। এর সঙ্গে হালে দোসর হিসেবে জুড়েছে চিনে নভেল করোনাভাইরাসের বাড়বৃদ্ধি। সব মিলিয়ে আমেরিকা, ইইউ, চিনের মতো দেশের আর্থিক বৃদ্ধি ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা ষোলো আনা। 


বিশ্বজনীন বৃদ্ধিতে ধাক্কা?
এমন যে হতে পারে, সে আঁচ গত অক্টোবরেই দিয়ে রেখেছিল ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড। ২০২৩ সালের জন্য বিশ্বজনীন আর্থিক বৃদ্ধির হার কম ধরেই পূর্বাভাস দেওয়া হয়। বলা হয়, '২০২১ সালে বিশ্বজনীন বৃদ্ধির হার যেখানে ৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল সেখানে ২০২২ সালে তা নেমে যায় ৩.২ শতাংশে। ২০২৩ সালে তা আরও কমে ২.৭ শতাংশে পৌঁছে যাওয়ার কথা।' আইএমএফের মতে, ২০০১ সাল থেকে ধরলে মাঝের আর্থিক ধাক্কা ও অতিমারির সময়কার চরম পরিস্থিতি ছাড়া এটিই বৃদ্ধির সর্বনিম্ন হার হতে চলেছে।' বস্তুত আর্থিক মন্দার আশঙ্কা যে বাড়ছে সেটি স্পষ্ট চিনের পদক্ষেপ থেকেও। বিপুল প্রতিবাদের মুখে পড়ে 'জিরো-কোভিড'  নীতি থেকে সরে এসেছে বেজিং। সচল করেছে অর্থনীতিও। কৃস্তালিনার অবশ্য মন্তব্য, 'আগামী কয়েক মাস চিনের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন হবে। চিনের বৃদ্ধির উপর এর নেতিবাচক জের পড়বে, ওই অঞ্চলে এর নেতিবাচক জের পড়বে। বস্তপত গোটা বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধির পক্ষেই এর প্রভাব নেতিবাচক হবে।'


আরও পড়ুন:'আসবে দিদির দূত, আসবে ভূত', উলুবেড়িয়ার সভা থেকে চাঁচাছোলা শুভেন্দু