নয়াদিল্লি: দীর্ঘ সময় পর শেষ হল ভোটগণনা। আপাতত যা ছবি, তাতে পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে প্রাপ্ত আসনসংখ্যার নিরিখে এগিয়ে রয়েছেন ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা। শেষ গণনা অনুযায়ী, ২৬৫ আসনের পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ৯৭টি পেয়েছেন এই নির্দলরা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা পিএমএল(এন) নেতা নওয়াজ শরিফের দল পেয়েছে ৭৬টি আসন, পিপিপি-র ঝুলিতে গিয়েছে ৫৪টি আসন। সরকার গঠনের ক্ষেত্রে কে কার হাত ধরবে, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, রবিবার বিকেলের দিকে খবর আসে, পিএমএল(এন)-র প্রতিনিধিদের সঙ্গে এমকিউএম(পাকিস্তান) একপ্রস্ত কথাবার্তা সেরেছে। যদিও এর কিছু পরেই  এমকিউএম(পাকিস্তান) দলের আহ্বায়ক জানিয়ে দেন, পিএমএল(এন)-র প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় সরকার গঠন নিয়ে কোনও কথা হয়নি।


যা জানা গেল...
একাধিক রাজনৈতিক দলের তরফেই 'রিগিং'-র অভিযোগ ক্রমে বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিবাদ-বিরোধিতার সিঁদুরে মেঘ আঁচ করে রাজধানী শহর ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের চারপাশ ঘেরাও হওয়ার তৎপরতা দেখে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ৪ জনের বেশি জমায়েত এখন বেআইনি। গত ৮ ফেব্রুয়ারির ভোটে ভোটচুরির প্রতিবাদে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে ইমরানের দল পাক তেহরিক-ই-ইনসাফ। সকালের দিকেই শোনা গিয়েছিল, বেশ কয়েকজন পরাজিত প্রার্থী 'রিগিং'-র অভিযোগ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন। নির্বাচন কমিশন নির্দিষ্ট কয়েকটি পোলিং স্টেশনে পুনরায় ভোটের নির্দেশ দিয়েছে। অন্য একটি পোলিং স্টেশনে ভাঙচুরের রিপোর্ট-ও তলব করে তারা।


কী হতে পারে?
এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে সরকার গঠন করতে হলে, শরিফের পিএমএল(এন)-কে ভুট্টো জারদারির পিপিপি-র সঙ্গে জোট গঠন করতে হবে। নয়তো পিটিআই সমর্থিত নির্দলদের অন্যান্যা দলের জয়ী প্রার্থীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠনের তৎপরতা শুরু করতে হবে এর মধ্যেই। পিপিপি সরকার গঠনের মূল চাবিকাঠি হয়ে দাঁড়াতে পারে কারণ তাদের ছাড়া সরকার তৈরি করা কঠিন। এগুলির কোনওটিই না হলে, ফের সেনার হাতে ক্ষমতা চলে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকছে। তবে এখনও সেই সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা কম। বরং ইমরান খান জেলে থাকা অবস্থাতেও যে ভাবে তাঁর দলের সমর্থিত নির্দল প্রার্থীর জয়ের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন, তা নিয়ে দিকে দিকে আলোচনা হচ্ছে। তা হলে কি পরোক্ষে জনমতের বড় অংশ পিটিআইয়ের সমর্থনেই? আলোচনা শুরু হয়েছে। সরকারে কে আসবে, সে জন্য অবশ্য আরও কিছু সময়ের অপেক্ষা।


আরও পড়ুন:শিশুদের যৌন নিগ্রহ মামলায় দোষী ব্যক্তির সাজা মাফ, জনরোষে পদত্যাগ হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের