নয়াদিল্লি: একদিকে অতিমারি উত্তর অর্থসঙ্কট, মূল্যবৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতি, অন্য দিকে সরকারি নীতির বজ্রআঁটুনি।  দুইয়ের চাপে প্রাণ ওষ্ঠাগত শ্রমিক, কৃষক, সাধারণ মানুষের। এর প্রতিবাদে দেশ জুড়ে দু’দিনের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে শ্রমিক সংগঠনের (Trade Unions) যৌথ মঞ্চ। ২৮ এবং ২৯ মার্চ, দু’দিন চলবে ধর্মঘট (Bharat Bandh)।


ধর্মঘটে সামিল একাধিক ক্ষেত্র


এই ধর্মঘটের আওতায় সড়ক, সব ধরনের পরিবহণ এমনকি বিদ্যুৎকর্মীরাও ধর্মঘটে সামিল হচ্ছেন বলে জানিয়েছে শ্রমিক সংগঠন। এই ধর্মঘটে সামিল রয়েছে INTUC, AITUC, HMS, CITU, AIUTUC, TUCC< SEWA, AICCTU, LPF  এবং UTUC-র মতো সংগঠন। তাদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার শ্রমিক বিরোধী, কৃষক বিরোধী, মানুষ বিরোধী এবং দেশ বিরোধী নীতি নিয়ে চলছে। তাই কয়লা, ইস্পাত, তেল, টেলিকম, ডাক, আয়কর, তামা, ব্যাঙ্ক, বিমা সব ক্ষেত্রই এই ধর্মঘটে সামিল।





আরও পড়ুন: Medicine Price Hike:প্যারাসিটামল থেকে জীবনদায়ী ওষুধ, এপ্রিল থেকে ১০% মূল্যবৃদ্ধি


এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত ক্ষেত্রে ধর্মঘটের প্রভাব পড়তে চলেছে, তার মধ্যে অন্যতম হল রেল। রেলকর্মীরাও ধর্মঘটে যোগ দিতে চলেছেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় সমবেত হবেন তাঁরা। অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন শনিবার জানায়, দেশব্যাপী ধর্মঘটে সামিল তারাও। কেন্দ্রীয় সরকারের বেসরকারিকরণ নীতির বিরুদ্ধে ধর্মঘটকে সমর্থন জানাচ্ছে তারা। একই সঙ্গে ২০২১-এর সংশোধিত ব্যাঙ্ক আইনের বিরোধিতাও করছে তারা।



বাংলা-কেরল ব্যাতিক্রম


তবে এর মধ্যেও বাংলায় সরকারি দফতর খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। ধর্মঘটের দিন অনুপস্থিত থাকলে বেতন কাটা যাবে বলে জানানো হয়েছে।


একই ভাবে কেরল হইকোর্টও জানিয়েছে, ভারত পেট্রলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড-এর পাঁচটি শ্রমিক সংগঠন ধর্মঘটে অংশ নেবে না।