নয়াদিল্লি: রাজ্য এবং বিদ্যুৎ কোম্পানি এবং রেলওয়ের কয়লার চাহিদা মেটাতে তৎপর হল কেন্দ্র। সূত্রের খবর, সরকার তার দৈনিক কয়লা উৎপাদনকে এক সপ্তাহের মধ্যে ১.৯৪ মিলিয়ন টন থেকে বাড়িয়ে ২ মিলিয়ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। 


সরকারী সূত্র জানিয়েছে যে, রাজ্য এবং বিদ্যুৎ সংস্থাগুলিকে দৈনিক কয়লা সরবরাহে কোন ঘাটতি নেই এবং তাদের কাছে ৫ দিনের জ্বালানি কয়লা মজুত রয়েছে। সূত্রের দাবি, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। 


কেন্দ্রের দাবি, উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য একাধিক কারণ দায়ী। কেন্দ্রীয় সূত্রের দাবি, জানুয়ারি মাস থেকেই কয়লা মন্ত্রক বিভিন্ন রাজ্যকে তাদের নিজ নিজ রাজ্যে যথেষ্ট পরিমাণ কয়লা সংগ্রহ ও মজুদ করার জন্য় আবেদন জানালেও, কেউ তা তোয়াক্কা করেনি। 


কেন্দ্রের আরও দাবি, কোল ইন্ডিয়া একটি সীমা পর্যন্ত কয়লা মজুত করতে পারে। যদি তারা সীমার চেয়ে বেশি কয়লা মজুদ করে তাহলে আগুন লাগার আশঙ্কা থাকে।


আরও পড়ুন: দেশে কয়লা-সঙ্কট ঘনীভূত, জোগানের অভাবে বন্ধ ২০টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, 'ব্ল্যাকআউট'-এর আশঙ্কা একাধিক রাজ্যে


কেন্দ্রের পাল্টা অভিযোগ, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের নিজস্ব খনি আছে কিন্তু তারা কয়লা উত্তোলনের জন্য খুব কম কাজ করেছে। কেন্দ্রীয় সূত্রের দাবি, ছাড়পত্র সত্ত্বেও কোভিড এবং বৃষ্টির কারণ দেখিয়ে কয়লা খনন ও উত্তোলন কার্য  না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কয়েকটি রাজ্য। 


কেন্দ্রীয় সূত্রের দাবি, দীর্ঘ বর্ষার ফলে খননকার্যে প্রভাব পড়ে এবং আমদানিকৃত কয়লার দাম তীব্র গতিতে বাড়তে থাকার ফলেও, বর্তমান সঙ্কট তৈরি হয়েছে।


পাশাপাশি, বিদেশ থেকে কয়লার আমদানি ১২ শতাংশ কমে যাওয়ার ফলে, দাম ১২ শতাংশ বেড়ে যায়। লোকসান কমাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থাগুলি দেশীয় কয়লার বিকল্প খুঁজতে শুরু করে। 


কেন্দ্রীয় সূত্রের দবি, রাজ্যগুলির উপর কোল ইন্ডিয়ার বিশাল অঙ্কের টাকা পাওনা বকেয়া রয়েছে। সূত্র থেকে জানা গেছে যে মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ এবং তামিলনাড়ুর থেকে প্রচুর অর্থ পাবে কেন্দ্র। এই রাজ্যগুলির কোল ইন্ডিয়াকে ২০ হাজার কোটি টাকা বকেয়া দিতে হবে।


যদিও, কেন্দ্রীয় সূত্রের দাবি, প্রচুর অর্থ বকেয়া থাকা সত্ত্বেও এই রাজ্যগুলিতে কয়লা সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে এবং কেন্দ্রের তরফে বিদ্যুৎ ও কয়লা সরবরাহ প্রদান অব্যাহত রাখা হবে।