নয়াদিল্লি: অতিসংক্রামক ওমিক্রনকে (COVID Variant Omicron) রুখতে বুস্টার ডোজ বা তৃতীয় টিকা নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ চলছে সর্বত্র। তার মধ্যেই নিজেদের তৈরি কোভ্যাকসিনকে সর্বজনীন টিকা (Universal Vaccine) ঘোষণা করে দিল হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech ) অর্থাৎ বিস্বব্যাপী প্রয়োগযোগ্য। তাদের দাবি, করোনার বিরুদ্ধে প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের জন্য সর্বজনীন টিকা তৈরি করাই তাদের লক্ষ্য ছিল। এত দিনে সেই লক্ষ্যপূরণ সম্ভব করে দেখাতে পারল তারা।


করোনা কালে জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবহারের জন্য কোভ্যাকসিন টিকায় ছাড়পত্র দিয়েছিল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার ভারতের বাজারে টিকার সার্বিক ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার (Drugs Controller General of India) কাছে আবেদন জানিয়েছে ভারত বায়োটেক। তার পরই বিবৃতি প্রকাশ করে সংস্থার তরফে বলা হয়, ‘কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে সর্বজনীন টিকা তৈররি লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছি আমরা। শংসাপত্রের জন্য সব সমস্ত পণ্যের ক্রমবিকাশ সম্পন্ন।  


ভারত বায়োটেকের দাবি, তাদের তৈরি কোভ্যাকসিন টিকা করোনার ডেল্টা এবং ওমিক্রন, দুই রূপের বিরুদ্ধেই কার্যকরী। এমনকি সার্স কোভ ২ ভাইরাসের আলফা, বিচা, ডেল্টা, জিটা, কাপ্পা, সব রূপকেই কোভ্যাকসিন কাবু করতে সক্ষম বলে দাবি সংস্থার।


আরও পড়ুন: Uttarakhand : উত্তরাখণ্ডে ভোটের ডিউটিতে মোতায়েন বিএসএফের ৩০ জওয়ান করোনায় আক্রান্ত


এ দিন যে আবেদন জমা দিয়েছে ভারত বায়োটেক, তাতে দেশীয় বাজারপে কোভ্যারকসিনের সার্বিক ব্যাবহারের অনুমোদন চাওয়া হলেো, এখনও পর্যন্ত পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পরবর্তী ফলাফলের বিশদ রিপোর্ট এখনও জমা দেয়নি ভারত বায়োটেক।


এর আগে, গত ২৫ অক্টোবর সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (Serum Institute of India/SII) নিয়ন্ত্রক বিভাগের ডিরেক্টর প্রকাশকুমার সিংহ কোভিশিল্ডের সার্বিক ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে আবেদন জমা দেন নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে। কোভিশিল্ড টিকাও জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবহারে অনুমোদিত।  গত সপ্তাহে তার জন্য প্রযোজনীয় সমস্থ তথ্য-প্রমাণও জমা দিয়েছেন প্রকাশকুমার।


পরীক্ষামূলক পরীক্ষার তিন ধাপের মধ্যে দু’টি সম্পূর্ণ করে ফেলা কোভিশিল্ডের ১০০ কোটি টিকা দেশে-বিদেশে মানুষকে দেওয়া হয়েছে বেল নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে জানানো হয়েছে। কোভিশিল্ড মানবশরীরের পক্ষে কতটা নিরাপদ এবং করোনার বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর, এই পরিসংখ্যানই তার প্রমাণ বলে দাবি করেছেন প্রকাশকুমার।


অন্য দিকে, দেশে টিকাকরণের ১২ শতাংশ ক্ষেত্রে কোভ্যাকসিন ব্যবহার করা হয়েছে। তবে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের জন্য আপাতত কোভ্যাকসিনই বরাদ্দ করেছে সরকার।