জয়পুর: ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডে উত্তাল রাজস্থান (Rajasthan)। নেপথ্যে নূপুর শর্মার মন্তব্যের জের। মরুরাজ্যের উদয়পুরে (Udaipur) মঙ্গলবার ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নূপুর শর্মার সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন এক ব্যক্তি। অভিযোগ, সেই কারণেই দোকানে ঢুকে তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, গোটা ঘটনার ভিডিও তোলা হয়েছে। সেখানে হুমকি দিতেও শোনা গিয়েছে। অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থান পুলিশ। গোটা ঘটনায় প্রবল উত্তেজনা রয়েছে গোটা রাজ্যে। রাজসমন্দ থেকে তাড়া করে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের হেফাজতে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন উদয়পুরের পুলিশ সুপার মনোজ কুমার। এই ঘটনার পর রাজ্যে নানা জায়গায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। 


মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা:
হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করে এবং দোষীদের  কড়া শাস্তির আশ্বাস দিয়ে, শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত (Ashok Gehlot)। এই ঘটনা নিয়ে যাতে রাজ্যে কোনও উত্তেজনা তৈরি না হয়, তার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদনও জানিয়েছেন তিনি। কোনওরকম বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে আপাতত ২৪ ঘণ্টার জন্য গোটা রাজস্থানে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।     


কদিন আগেই প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা (Nupur Sharma) একটি মন্তব্য করেন, তা নিয়ে কদিন পর থেকে গোটা দেশে নানা জায়গায় প্রবল বিক্ষোভ-আন্দোলন শুরু হয়। একাধিক জায়গায় বিক্ষোভের নামে কার্যত তাণ্ডব হয়েছিল। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগের মতো ঘটনা ঘটেছিল। বেশ কিছু দিন টানা এমন ঘটনার পর অবশেষে ঠান্ডা হয় পরিস্থিতি। ইতিমধ্যেই নূপুর শর্মাকে বহিষ্কার করেছিল বিজেপি। তাঁর বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। ফের সেই প্রসঙ্গ নিয়ে উত্তেজনা ছড়াল রাজস্থানে।       


কড়া সমালোচনা বিজেপির:
গোটা ঘটনার প্রবল সমালোচনা করেছে বিজেপি (BJP)। রাজস্থানের বিজেপি নেতা গুলাব চাঁদ কাটারিয়া বলেন, 'দোষীদের কড়া শাস্তি দিতে হবে। পরিবারকে সাহায্য করতে হবে।' দোষীদের কড়া শাস্তি দেওয়ার দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াতও।


রাহুলের টুইট-বার্তা:
হত্যাকাণ্ডের কড়া নিন্দা করেছেন রাহুল গাঁধীও (Rahul Gandhi)। তাঁর ট্যুইট, 'উদয়পুরে জঘন্য হত্যাকাণ্ডে আমি স্তম্ভিত। ধর্মের নামে বর্বরতা কখনওই বরদাস্ত করা যায় না। এই নৃশংসকাণ্ড যারা ঘটিয়েছে তাদের দ্রুত কড়া শাস্তি দিতে হবে। সবাইকে একসঙ্গে মিলে ঘৃণাকে হারাতে হবে।  সবার উদ্দেশে আমার আবেদন, দয়া করে শান্তি ও ভাতৃত্ববোধ বজায় রাখুন। 


আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে তুঙ্গে টানাপড়েন, রাজ্যপালের কাছে আস্থা ভোটের দাবি বিজেপির