বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি:  করোনার কারণে লকডাউন (Lockdown) দেখেছে বিশ্ব। এবার কি বায়ুদূষণের জন্য লকডাউনের সাক্ষী থাকবে দিল্লি-সহ NCR? এই প্রশ্নটাই উস্কে দিল, বায়ুদূষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)দেওয়া দিল্লির কেজরিওয়াল সরকারের হলফনামা। দীপাবলির পর থেকে দিল্লি-সহ আশপাশের এলাকায় বায়ু দূষণ মাত্রা ছাড়িয়েছে। 

দিনের বেলাতেও গাড়ি চালাতে হচ্ছে হেডলাইট জ্বালিয়ে! এটাই দূষিত দিল্লির ছবি! ধোয়াঁশার চাদরে ঢেকে গিয়ে রাজধানী।

গত শুনানিতেই, দূষণ কমাতে লকডাউনের কথা বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারপর, শুনানির আগে দিল্লি সরকার সোমবার সুপ্রিমকোর্টে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে, তারা লকডাউন করতে প্রস্তুত। তবে, দূষণ কমাতে হলে শুধু দিল্লিতে লকডাউন করলেই চলবে না, গোটা ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিওন বা NCR’এ লকডাউন করতে হবে। 
 
পড়ুন :

ধোঁয়াশার আঁধারে মোড়া রাজধানী দিল্লি, দূষণ-যন্ত্রণার আঁতকে ওঠার মতো কিছু ছবি

দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই জানান, দূষণ কমাতে লকডাউনে সায় দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারও। মোদি সরকারের তরফে, সুপ্রিম কোর্টে বলা হয়, ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর জেরে দূষণের পরিমাণ সামান্য। সামগ্রিক দূষণের, মাত্র ১০ শতাংশই এর জন্য দায়ী। 

দূষণ কমাতে, সুপ্রিমকোর্টে তিনটি প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেগুলি হল, জোড়-বিজোড় ফর্মুলায় গাড়ি চলাচল। দিল্লিতে ট্রাকের প্রবেশ আপাতত বন্ধ রাখা হবে। সবশেষে, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবে লকডাউনের কথাও বলা হয়েছে। 

এর আগে শুনানিতে শীর্ষ আদালত কেন্দ্রকে বলে, “লকডাউনের (Lockdown) মতো পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও ভাবতে পারেন। মানুষ বাঁচবে কীভাবে? গাড়ি, ধুলো, বাজি থেকেও দূষণ ছড়াচ্ছে। এমন কিছু করুন, যাতে ২-৩ দিনে পরিস্থিতির (Situation) উন্নতি হয়।'' পরিস্থিতি এমন যে, আদালত কক্ষে আমাদের মাস্ক পরতে হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে মন্তব্য প্রধান বিচারপতির (Chief Justice)। সরকারের পক্ষ থেকে আদালতে যে হলফনামা দেওয়া হয়েছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নির্মাণ কাজ, খড় পোড়ানোয় বেশি দূষণ হচ্ছে। এদিনের শুনানিতে আদালত কেন্দ্রীয় সরকার সহ দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, পঞ্জাব সরকার এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আগামীকালের মধ্যে বৈঠক ডাকার নির্দেশ দিয়েছে। এক সপ্তাহ যেন এই খড় পোড়ানো বন্ধ থাকে তা দেখতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে, কেন্দ্র-রাজ্য দুই সরকারের কাছেই শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মঙ্গলবার সকালে, আপদকালীন ভিত্তিতে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারের সঙ্গে বৈঠক করবে কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে ফের, এই মামলার শুনানি হবে।