কলকাতা : ৩ দিনের সফরে আজ গোয়া (Goa) যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আজই তৃণমূলের (TMC) প্রথম দফার প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গোয়ায় শরিক মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টিকে ৮ আসন ছাড়ছে তৃণমূল। বাকি ৩২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তৃণমূল কংগ্রেস।


এর আগে গত ডিসেম্বর মাসে গোয়া সফরে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। পুজো দিয়েছিলেন সাঙ্কেলিমের রুদ্রেশ্বর মন্দিরে। নানা কর্মসূচি ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। এই সফরেই গোয়ার ক্ষমতায় এলে ২ মাসের মধ্যে গৃহলক্ষ্মী প্রকল্প চালুর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন তিনি।


আরও পড়ুন ; গোয়ায় ভোটের ফল ত্রিশঙ্কু হলে কাকে সমর্থন আপের ? যা বললেন কেজরিওয়াল...


উল্লেখ্য, ‘দুয়ারে সরকার’ থেকে শুরু করে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’, গত বিধানসভা ভোটে এই প্রকল্পগুলিই ডিভিডেন্ট দিয়েছে তৃণমূলকে। বাংলার ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের আদলে গোয়াতেও ‘গৃহলক্ষ্মী কার্ড’ প্রকল্প চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তৃণমূল। বাংলায় ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে ২৫ থেকে ৬০ বছরের মহিলারা মাসে ৫০০ টাকা করে পেয়ে থাকেন। তফশিলি জাতি এবং তফশিলি উপজাতি হলে মাসে মেলে ১ হাজার টাকা। কিন্তু গোয়ায় ক্ষমতায় এলে ‘গৃহলক্ষ্মী’ প্রকল্পে প্রত্যেক গৃহকর্ত্রীকে মাসে ৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তৃণমূল। এনিয়ে ট্যুইটে তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের। 


এছাড়া ক্ষমতায় এলে বাস্তুজমির উপর গোয়াবাসীর মালিকানা (Land Ownership) সুনিশ্চিত করবে তাদের সরকার। এমনই আশ্বাস দিয়েছে তৃণমূল। অর্থাৎ ১৯৭৬ সাল থেকে যাঁরা গোয়ায় রয়েছেন, তাঁদের দখলে থাকা বাস্তুজমির মালিকানা তুলে দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, গৃহহীন পরিবারগুলির হাতে ভর্তুকিপ্রাপ্ত ৫০ হাজার বাড়ির চাবিও তুলে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি তৃণমূলের।


প্রসঙ্গত, গোয়া বিধানসভায় রয়েছে ৪০টি আসন। ২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনে এখানে ১৭টি আসনে জয়লাভ করেছিল কংগ্রেস, বিজেপি জিতেছিল ১৩টিতে। অন্যান্যদের ঝুলিতে গিয়েছিল ১০টি আসন। কম আসন থাকা সত্ত্বেও গোয়ায় সরকার গঠনে সফল হয় গেরুয়া শিবির। সাহায্য নেয় আঞ্চলিক দলগুলির।