কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, গোয়া: ভোটমুখী গোয়ার (Goa) পর্যটনে করোনার ধাক্কা। হু হু করে কমেছে পর্যটকের  (Tourists) সংখ্যা। কার্যত খালি সি বিচ। খা খা করছে হোটেল। দুশ্চিন্তায় পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত সবাই।


গোয়া নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে পর্যটন, বিনোদন, আনন্দ, উল্লাসের দৃশ্যগুলি। হলিডে হোক বা হানিমুন, দেশ তো বটেই, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটকদেরও অন্যতম প্রিয় ডেস্টিনেশন, ভারতের এই ছোট্ট, সুন্দর, সমুদ্র সৈকতের পাড়ের রাজ্য । কিন্তু করোনার দাপট বদলে দিয়েছে এই ছবিটাই। গোয়ায় সে অর্থে এখন পর্যটকের দেখাই নেই। চেনা বিচগুলি আজ যেন অনেকটাই অচেনা।  সাধারণ সময়ে সমুদ্র সৈকতে এই চেয়ারগুলিতে যখন তিল ধরানোর জায়গা থাকে না, এখন সেখানে এই ছবি।


বিধানসভা ভোটকে (Assembly Election) ঘিরে যখন সরগরম গোয়া (Goa)। তখন করোনার জেরে কার্যত পর্যটরবিহীন সমুদ্র সৈকত। গোয়ার যা জনসংখ্যার তার ৫-৬ গুণ পর্যটক আসেন। সমুদ্র সৈকতে যেখানে পর্যটকদের জোয়ার আসে, সেখানে এখন ভাটা সেই পর্যটনেই।  কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, ২৪ ঘণ্টায়, গোয়ায় সাড়ে ৫০০-র বেশি অ্যাক্টিভ কেস বেড়ে হয়েছে প্রায় ২২ হাজার। মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।গোটা দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ায়, গোয়া থেকেও মুখ ফিরিয়েছেন পর্যটকরা। ফলে মুখ থুবড়ে পড়েছে পর্যটন শিল্প। খা খা করছে হোটেল, রিসোর্টগুলিও। পরিসংখ্যান বলছে, গোয়ার জনসংখ্যা প্রায় ১৮ লক্ষ। কিন্তু প্রতিবছর ভিন রাজ্য থেকে ৭০ লক্ষ এবং ১০ লক্ষ বিদেশি পর্যটক আসেন এখানে। কিন্তু এখন আসছেন নামমাত্র। ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন অফ গোয়ার সভাপতি নীলেশ শাহ বলেন, “৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ব্যবসা কমে গেছে। ’’


শুধু পর্যটকরাই নন, গোয়ার পর্যটন শিল্পের উপর নির্ভরশীল ভিন রাজ্যের বহু মানুষও। যেমন তোফাজ্জল শাহ। আদতে বালুরঘাটের বাসিন্দা, কিন্তু গোয়ায় আছেন ৭ বছর ধরে। তবে করোনা আবহে পর্যটনের যা হাল, তাতে পেটের তাগিদে নিজের রাজ্যে ফিরে আসতে হবে না তো? সেই আশঙ্কায় দিন কাটছে। পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যারা যুক্ত তাঁদের আশা, ফেব্রুয়ারির শেষে যখন করোনা ও ভোট মিটবে, তখন পর্যটন ফিরবে।


আরও পড়ুন: Goa Assembly Election 2022 : গোয়ায় প্রথম দফায় ১১ জনের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা তৃণমূলের, রয়েছেন ২ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী