কোকরাঝর: প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে টুইট মামলায় জামিন পেলেও, আপাতত ঘরে ফেরা হল না গুজরাতের (Gujarat MLA) নির্দল বিধায়ক জিগনেশ মেবানির (Jignesh Mevani)। বরং অন্য গুরুতর মামলায় তাঁকে ফের গ্রেফতার করল অসম পুলিশ (Assam Police)। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে শারীরিক নিগ্রহ, শ্লীলতাহানির মতো মারাত্মক অভিযোগ আনা হয়েছে। অসম পুলিশেরই এক মহিলা কনস্টেবলের অভিযোগের ভিত্তিতে নতুন করে মামলা দায়ের করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।


অন্য মামলায় ফের গ্রেফতার জিগনেশ


গুয়াহাটি বিমানবন্দর হয়ে কোকরাঝড় নিয়ে আসার পথে জিগনেশ ওই মহিলা কনস্টেবলের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন বলে অভিযোগ। ২১ এপ্রিল বরপেটা রোড থানায় জিগনেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা কনস্টেবল। তাঁর অভিযোগ, গাড়িতে জিগনেশ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন তাঁক, অশালীন অঙ্গভঙ্গি করেন তাঁকে দেখে এবং ধাক্কা দিয়ে ফেল বসার আসনে তাঁকে চেপে ধরেন।


ওই মহিলা কনস্টেবলের অভিযোগের ভিত্তিতে জিগনেশের বিরুদ্ধে অশ্লীল আচরণ এবং ভাষার প্রয়োগ, ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত হানা, সরকারি কর্মীকে নিবৃত্ত করতে অপরাধমূলক ভাবে বলপ্রয়োগ এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছে অসম পুলিশ। সোমবার টুইট মামলায় জামিন পাওয়ার পরই তাই পুনরায় জিগনেশকে গ্রেফতার করা হয়, যদিও গ্রেফতারির সময় জিগনেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ খোলসা করা হয়নি।


আরও পড়ুন: v


গত বৃহস্পতিবার গুজরাতের পালনপুরের সার্কিট হাউস থেকে জিগনেশকে গ্রেফতার করে অসম পুলিশ। একের পর এক সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) নিশানা করে টুইট করেছিলেন জিগনেশ। তাতে মোদিকে গডসে ভক্ত বলেও উল্লেখ করেছিলেন। তার জেরে অসমের এক বিজেপি কর্মী জিগনেশের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। তাতেই গুজরাতে গিয়ে তাঁকে কার্যত অসমে তুলে নিয়ে যায় রাজ্যের পুলিশ। তাতে জামিন পেলেও, অন্য মামলায় ফের তাঁকে গ্রেফতার করা হল।


প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ জিগনেশের


যদিও জিগনেশের দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই ভুয়ো এবং ভিত্তিহীন মামলা সাজিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে তাঁকে। বিজেপি (BJP) এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ম (RSS) সেবক সঙ্ঘ (RSS) তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ জিগনেশের। জিগনেশের দাবি, তাঁর ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা চলছে। রোহিত ভেমুলা থেকে চন্দ্রশেখর আজাদ হয়ে এ বার তাঁর উপর নজর পড়েছে গেরুয়া শিবিরের। জিগনেশকে দ্বিতীয় বার গ্রেফতার করা নিয়ে মুখ খুলেছেন তাঁর আইনজীবী অংশুমান বরাও। তিন দিন পুলিশি হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চললেো, তখন কেন বরপেটার মামলাটিক উল্লেখ পাওয়া গেল না, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।