নয়া দিল্লি : করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনের বুস্টার শট নিয়ে জল্পনা চলছে। এরই মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, দেশবাসীকে ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ দেওয়াই সরকারের অগ্রাধিকার। গতকাল এক সাংবাদিক বৈঠকে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের ডিরেক্টর বলরাম ভার্গভ বলেন, দুটি ডোজেরই প্রয়োগ প্রয়োজন রয়েছে। এই নিয়ম ভাঙা উচিত নয়।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে তিনি বলেন, আমাদের একটা জিনিস পরিষ্কার মনে রাখা উচিত, এই মুহূর্তে বুস্টার ডোজ কেন্দ্রীয় বিষয় নয়। বৈজ্ঞানিক আলোচনা বা জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে, দুটি ডোজ নেওয়াটাই অগ্রাধিকার। একাধিক এজেন্সির তরফে সুপারিশ করা হয়েছে যে, অ্যান্টিবডির পরিমাণ না দেখে, সম্পূর্ণ টিকাকরণই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত ভারতে প্রাপ্তবয়স্কদের ২০ শতাংশ ভ্যাকসিনের দুটি ডোজই নিয়েছেন। এছাড়া ৬২ শতাংশ মানুষ অন্ততপক্ষে একটি করে টিকা নিয়েছেন। সরকারের নথি অনুযায়ী, সিকিম, হিমাচলপ্রদেশ, গোয়া, চণ্ডীগড় ও লাক্ষাদ্বীপ-এই পাঁচ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সব প্রাপ্তবয়স্ক অন্ততপক্ষে একটি করে ডোজ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন ; ভ্যাকসিন ভীষণ কার্যকর, এখন বুস্টার শটের প্রয়োজন নেই ; বলছে ল্যানসেটের রিভিউ
এদিকে অতিমারির এই পর্যায়ে সাধারণ নাগরিকদের জন্য কোভিড ভ্যাকসিন বুস্টারের প্রয়োজন নেই। সম্প্রতি একথা জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সহ বিজ্ঞানীদের একটি আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী। এই সংক্রান্ত রিভিউ প্রকাশিত হয়েছে দ্য ল্যানসেট-এ। তাতে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে বুস্টার ডোজের প্রয়োজন নেই । কারণ, মারাত্মক করোনা ভাইরাস, এমনকী ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রেও ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা যথেষ্ট বেশি। রিভিউয়ের লেখক আনা-মারিয়া বলেন, যদি এই ভ্যাকসিন সেইসব ব্যক্তিকে দেওয়া যায় যাঁরা এখনও একটিও ডোজ পাননি এবং গুরুতর রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন, তাহলে তাঁদের অধিকাংশেরই জীবন রক্ষা পাবে। এদিকে WHO-র প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন বলেন, টিকা দিয়ে মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা কমানোর যে কোনও সিদ্ধান্ত- জোরাল প্রমাণ এবং আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক আলোচনার মাধ্যমে হওয়া উচিত। এর ঝুঁকি বিবেচনা করে দেখা উচিত।