হায়দরাবাদ: বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নাম করে গাড়িতে তোলা নাবালিকাকে। তার পর পালা করে ধর্ষণের অভিযোগ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে (Hyderabad Physical Assault Case)। রাতের শহরে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনায় তেতে উঠেছে হায়দরাবাদ। এই ঘটনায় রাজ্যের মন্ত্রীর পৌত্র জড়িত বলে অভিযোগ সামনে আসছে। তবে যে তথ্য সকলকে ভাবাচ্ছে, তা হল, পাঁচ অভিযুক্তের মধ্যে তিন জনই নাবালক (Minor Girl)।
গাড়িতে তুলে নাবালিকাকে ধর্ষণ
গত সপ্তাহে হায়দরাবাদে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশের হাতে আসা সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, একটি পানশালার বাইরে পাঁচ জনের সঙ্গে দাঁড়িয়ে রয়েছে বছর ১৭-র ওই কিশোরী। কিছু ক্ষণ পর তাদের সঙ্গেই গাড়িতে উঠে পড়ে সে। কিন্তু গাড়িতে তুলে তাকে এক এক করে পাঁচজন মিলে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেছে অকথ্য অত্যাচারের শিকার ওই নাবালিকা।
নির্যাতিতার বয়ান শুনে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই দিন সন্ধেয় পানশালার বাইরে ওই পাঁচ জনের সঙ্গে দেখা করে নির্যাতিতা। সেখান থেকে বেরনোর পর তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই পাঁচ জন। সেই মতো গাড়িতে উঠে পড়ে সে। কিন্তু শহরের একটি অভিজাত এলাকায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে এক এক করে তাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। বাইরে পাহারায় মোতায়েন থাকে বাকি চার জন।
আরও পড়ুন: Counterfeit Notes: জাল নোট বেড়েছে না কি কমেছে? চমক দিচ্ছে পরিসংখ্যান
এই ঘটনায় প্রথমে শ্লীলতাহানির অভিযোগদায়ের করেছিলেন নির্যাতিতার বাবা। সেই সময় কথা বলার মতো অবস্থায় ছিল না মেয়েটি। পরে পুলিশকে ধর্ষণের কথা জানায় সে। তার পর যৌন নির্যাতন থেকে শিশু সুরক্ষা আইনে (POCSO) ধর্ষণের মামলা দায়ের করে পুলিশ। মেয়েটির কাছ থেকেই এক অভিযুক্তের নাম জানতে পারে পুলিশ। তাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে, সিসি ক্যামেরার ফুটে দেখে বাকিদেরও শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তবে ধৃতর কাছ থেকেই তিন অভিযুক্ত নাবালক বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তাদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।
বিষয়টি সামনে আসার পর থেকেই উত্তাল হায়দরাবাদ। শুক্রবার এ নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। পুলিশ ডেকে সেই বিক্ষোভ হটানো হয়। বিরোধীদের অভিযোগ রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহম্মদ মাহমুদ আলির পৌত্র এই ঘটনায় যুক্ত। বাকিদের সঙ্গেও প্রভাবশালী রাজনীতিকদের সংযোগ রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পৌত্রের কোনও যোগ নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনায় রাজনৈতিক সংযোগ!
তেলঙ্গানার তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী কেটি রামারাও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ এবং হায়দরাবাদ শহরের ডিজিপি, পুলিশ কমিশনারকে কড়া পদক্ষেপ করতে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। অভিযুক্তরা যত বড় প্রভাবশালী পরিবারের ছেলেই হোক না কেন, কাউকে রেয়াত না করতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি নেতা কে কবিতা জানিয়েছেন, পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নেবে বলে আত্মবিশ্বাসী।