কোজিকোড় : ওনামের পর থেকেই নতুন করে কোভিড-আতঙ্ক ছড়িয়েছি কেরালায়। উল্লেখযোগ্য হারে দক্ষিণের এই রাজ্যে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। এই অবস্থায় আতঙ্ক বাড়িয়ে, ফের নিপা ভাইরাসের হদিশ মিলল কোঝিকোড়ে! ৩ বছর আগে কেরলের কোঝিকোড় এবং মলপ্পুরমে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল নিপা দংশনে! এবার করোনার মধ্যেই নিপা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ১২ বছরের এক বালকের। মৃতের বাড়ির ৩ কিলোমিটারের মধ্যে জারি হয়েছে সতর্কতা! কিন্তু তারই মধ্যে এল স্বস্তির খবর। ওই কিশোরের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে এখনও কারও শরীরেই মেলেনি ওই ভাইরাসের অস্তিত্ব।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর মৃত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ২০ জনের নমুনা পাঠিয়েছিল পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ বুধবার জানিয়েছেন, ২০ জনের রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে। তিনি বলেন, রাজ্যের পরিস্থিতি পুরোপুরি ঠিক নয় কিন্তু ফলাফল আনন্দদায়ক তো বটেই। তিনি আরও বলেন, "কোজিকোড়ের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে মোট ৬৮ জন নিপা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে পর্যবেক্ষণে আছেন। তবে সব রোগীই স্থিতিশীল।"
আরও পড়ুন:
Nipah Virus Kerala: নিপা ভাইরাসের লক্ষণগুলো কী কী
তিনি আরও বলেন, "নিপা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার নিয়ম অনুসারে, শেষ কেসটি রিপোর্ট হওয়ার পরে, একজন ২১ দিন এবং তারপরে আরও ২১ দিন অপেক্ষা করতে হয়। যদি আর কোনও নতুন আক্রান্তের খবর না আসে, তবেই বলা যেতে পারে যে, নিপার বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে, তাই আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে "
নিপা ভাইরাসে সংক্রমিত হলে হঠাৎ জ্বর আসতে পারে। সঙ্গে হতে পারে মাথা ব্যথা, পেশিতে টান ও বমিভাব। ২০০১ সালে রাজ্যে অজানা জ্বরে মৃত্যু হয় ৪৫ জনের। ২০০৭ সালে, নদিয়ায় অজানা জ্বরে ৫ জনের মৃত্যু হয়। ২০১১ সালে বাংলাদেশে নিপা ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যু হয়, শতাধিক মানুষের। সেসময় বাংলাদেশ লাগোয়া উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও অজানা জ্বরে বেশ কয়েকজন আক্রান্ত হন। সবকটি ক্ষেত্রেই, উপসর্গের সঙ্গে নিপা ভাইরাসের উপসর্গের মিল পান বিশেষজ্ঞরা।