নয়াদিল্লি: লিভ ইন রিলেশনশিপ জীবনেরই একটা অংশ এবং অঙ্গ। একটা মামলার শুনানিতে এমনটাই পর্যবেক্ষণ ইলাহাবাদ হাইকোর্টের। শুনানিতে হাইকোর্ট জানিয়েছে, লিভ-ইন রিলেশনশিপ বা সম্পর্ক জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। সামাজিক নৈতিকতার ধারণার পরিবর্তে ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখা দরকার।
প্রতিদিনের জীবনে হস্তক্ষেপ করছে পরিবার। এই অভিযোগ এনে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন লিভ ইন সম্পর্কে থাকা তরুণ-তরুণীরা। দুটি ভিন্ন পিটিশনও দাখিল করেন তাঁরা। এই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি প্রীতঙ্কর দিওয়াকার ও আশুতোষ শ্রীবাস্তবের এই পর্যবেক্ষণ। একটি পিটিশন দাখিল করেন সায়রা খাতুন এবং তাঁর বন্ধু। যাঁরা দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে লিভ ইন রিলশনে রয়েছেন। অন্য একটি পিটিশন দাখিল করেন জিনাত পারভিন এবং তাঁর বন্ধু। যাঁরা এক বছরের বেশি সময় ধরে একসঙ্গে রয়েছেন।
পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই বিষয়ে পুলিশের কাছে সাহায্য চাইলেও কেউ এগিয়ে আসেননি। তাঁদের অভিযোগ উপরুন্তু যত দিন যাচ্ছে ততই দুর্বিসহ হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। তাই আদালতের হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। শুনানির শুরুতেই আদালত বলে, সংবিধানের ২১ ধারা অনুযায়ী জীবনের অধিকার যে কোনও মূল্যে সুরক্ষিত করতে তারা দায়বদ্ধ। একইসঙ্গে তাদের আরও পর্যবেক্ষণ, আদালতের রায় লিভ ইন সম্পর্ককে মান্যতা দিয়েছে। লিভ-ইন সম্পর্ক জীবনের অংশ এবং অঙ্গ হয়ে উঠেছে। সমাজের চোখ দিয়ে না দেখে লিভ ইন রিলেশন ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ দিয়ে দেখা উচিত। যার উল্লেখ ইতিমধ্যেই রয়েছে সংবিধানের ২১ নম্বর ধারায়। একইসঙ্গে আদালত বলেছে যে পুলিশ প্রশাসন সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীদের অধিকার রক্ষা করতে বাধ্য।
আরও পড়ুন: Vande Bharat: আর কিছুদিনেই হাওড়া থেকে ছুটবে দেশের দ্রুততম ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস
আরও পড়ুন: SBI customers ALERT: এই কাজ না করলে তুলতে পারবেন না টাকা, SBI ATM-এর নিয়মে বদল