মুম্বই: জাতীয় দলের সমর্থন রয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিলেন তিনি। মহারাষ্ট্রে নতুন সরকারের নীল নকশাও নাকি ছকে ফেলেছেন একনাথ শিন্ডে! শিবসেনার বিক্ষুব্ধ শিবির অন্তত তেমনই বার্তা দিচ্ছে রাজনৈতিক মহলকে (Maharashtra Political Crisis)।  বিক্ষুব্ধদের সমর্থনে শীঘ্রই মহারাষ্ট্রে উদ্ধব ঠাকরে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। একই সঙ্গে বিজেপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজ্যপাল  ভগৎ সিং কোশিয়ারিকে শিন্ডে (Eknath Shinde) নয়া সরকার গড়ার প্রস্তাব দিতে চলেছেন বলে খবর। 


শীঘ্রই উদ্ধবের বিরুদ্ধে অনাস্থআ প্রস্তাব শিন্ডের!


সূত্রের খবর, নয়া সরকারের নীল নকশাও ছকে ফেলেছেন শিন্ডে। নয়া সরকারে শিন্ডে শিবির এবং বিজেপি-র প্রতিনিধিদের মন্ত্রিত্ব দেওয়া হবে বলে খবর। এখনও পর্যন্ত যে খবর মিলেছে, সেই অনুযায়ী, শিন্ডে শিবিরের ছয় জন বিক্ষুব্ধ মন্ত্রিসভায় জায়গা পাবেন। রাজ্যের মন্ত্রী হবেন অন্য ছয় জন। শুরুতে চার জন মন্ত্রী নিযুক্ত করা হবে। উপমুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত করা হবে এক জনকে। উদ্ধব সরকারের পতন ঘটলে নয়া সরকারে বিজেপি-র (BJP) ১৮ জন ক্যাবিনেট মন্ত্রী হবেন এবং ১০ জন প্রতিমন্ত্রী হতে পারেন বলেও খবর। 


উদ্ধব সরকারের পতন ঘটলে, নয়া সরকারে দেবেন্দ্র ফড়নবীশের কী ভূমিকা থাকবে, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। শিবসেনা সূত্রে খবর, উদ্ধব সম্প্রতি ফড়নবীশকে ফোন করেন। কিন্তু তাঁর সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি ফড়নবীশ। শিবসেনাকে সরাসরি বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে কথা বলতে হবে, বিজেপি-র তরফে এমন বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে খবর। 


আরও পড়ুন: Maharashtra Crisis : গুয়াহাটির হোটেলের বুকিং ৫ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছে বিদ্রোহীরা! কী ঘটতে চলেছে মহারাষ্ট্রে?


সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর, এই মুহূর্তে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে তৎপর শিন্ডে শিবির।  উদ্ধব সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারে তারা।  গুয়াহাটির হোটেলে বুকিং ৫ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সেই জল্পনা আরও উস্কে দিয়েছে।  সূত্রের খবর, শিণ্ডে শিবিরে এই মুহূর্তে রয়েছেন ৩৯ জন শিবসেনা বিধায়ক। দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের সংখ্যা হাতে থাকলেও এর মধ্যেই কয়েকজনের মত বদলের আশঙ্কা করছেন শিন্ডে। তাই উদ্ধব শিবির থেকে আরও কয়েকজন বিধায়ককে নিজের দিকে টেনে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। অন্যদিকে, নিজেদের বিধায়কদের মুম্বইতেই থাকতে নির্দেশ দিয়েছে বিজেপি। 


উদ্ধবের বিড়ম্বনা বাড়ালেন রাজ্যপাল


এ দিকে, মঙ্গলবার উদ্ধবকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল। ২১ থেকে২৫ জুনের মধ্যে ২০০-রও বেশি সরকারি নির্দেশনামা জারি করেছে মহারাষ্ট্র সরকার, যার অধিকাংশই প্রশাসনিক নির্দেশ। সংখ্যালঘু সরকার প্রশাসনিক নির্দেশ জারি করতে পারে না, এই মর্মে রাজ্যপালকে নালিশ জানিয়েছিল বিজেপি। এর পরই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বিস্তারিত তথ্য চাইলেন রাজ্যপাল। যদিও সরকারপক্ষের দাবি, কোথাও প্রমাণ হয়নি তারা সংখ্যালঘু।