নয়াদিল্লি: বিজেপি নেত্রীর একটি মন্তব্য। তাতেই বিদেশের মাটিতেও কার্যত প্রশ্নবাণের সামনে পড়তে হচ্ছে ভারত সরকারকে। ইসলাম ধর্মকে অবমাননার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি নেত্রীর নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে। যা নিয়ে একের পর এক দেশের তরফে কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে আরব উপমহাদেশের একাধিক দেশের তরফে ওই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। এমনকী ডেকে পাঠিয়ে ক্ষোভের কথা জানানো হয়েছিল ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকেও। পরে নূপুর শর্মা (Nupur Sharma) তাঁর বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন। টুইটার থেকে তাঁর টুইট তুলেও নেন। যদিও তাতে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া যায়নি।
কে এই নূপুর শর্মা:
সদ্য দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, বিজেপির (BJP) এই প্রাক্তন মুখপাত্রকে। পেশায় আইনজীবী নূপুর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন। লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স থেকে এলএলএম করা তাঁর। দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত এই নেত্রী।
রাজনীতি ময়দানে:
২০১৫ সালে ভোটের ময়দানে নেমেছিলেন নূপুর শর্মা। দিল্লি বিধানসভা ভোটে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে লড়াই করে হেরে যান তিনি। পরে বিজেপির মুখপাত্রের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন তিনি। বিজেপির এই নেত্রীর মন্তব্যের পরেই দেশজুড়ে আন্দোলন শুরু হয়। ওই মন্তব্যের কারণেই উত্তরপ্রদেশে হিংসা ছড়ায় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় একাধিক লোক জখম হয়েছেন। এরপরেই তাঁকে সাসপেন্ড করে দল। পদ থেকে ছাঁটলেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে ওই নেত্রীর।
বিদেশ থেকেও প্রতিবাদ:
ইরান, কাতার থেকে বাহরিন, সৌদি আরব- মুসলিম বিশ্বের একাধিক দেশ এই মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ করেছে। ভারতের সঙ্গে এই দেশগুলির খুব ভাল সম্পর্ক রয়েছে। ফলে এমন ঘটনায় ভারতের সঙ্গে ওই দেশগুলির পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়েও টানাপড়েন হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
The Organisation of Islamic Cooperation বা OIC-এর তরফে কড়া সমালোচনা করা হয়েছে নূপুর শর্মার মন্তব্যে। তাদের অভিযোগ, ভারতে ইসলাম বিরোধী ভাবনাচিন্তা বাড়ছে। যার তীব্র বিরোধিতা করেছেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। ভারতে সব ধর্মের প্রতি সমান সম্মান দেখানো হয় বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিজেপি নেতার মন্তব্যে চাপে ভারত, কড়া বিবৃতি ১৫টি দেশের