ওয়েনাড: কেরলে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীর (rahul gandhi) অফিস ভাঙচুরে অভিযুক্ত এসএফআই (sfi)। টুইটারে সরব যুব কংগ্রেস। দেওয়াল টপকে অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালান এসএফআই সদস্যরা, অভিযোগ যুব কংগ্রেসের। পুলিশের উপস্থিতিতে হামলার অভিযোগ। কংগ্রেসের (congress) দাবি, ষড়যন্ত্র করেছে সিপিমএম (cpm)। হাতশিবিরের প্রবীণ নেতা কে সি বেণুগোপালের দাবি, হস্তক্ষেপ করুন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। সরকার কড়া পদক্ষেপ করবে, আশ্বাস কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের (pinarai bijayan)।


ঘটনা একনজরে: 


কংগ্রেসের অভিযোগ, শুক্রবার প্রতিবাদ-মিছিল চলাকালীন হামলা করেছে এসএফআই। তবে খোদ ওয়েনাডের সাংসদ ও সনিয়া-পুত্র রাহুল গাঁধীর অফিসে যে ভাঙচুরের ছবি ধরা পড়েছে তাতে অনেক কিছুই প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে। সামনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তাতে বিজেপি বিরোধিতার সুর জোরালো করতে ঐক্যবদ্ধ ভাবে যশবন্ত সিনহাকে প্রার্থী করেছে বিরোধী শিবির। এই শিবিরে কংগ্রেসের পাশেই রয়েছে সিপিএমে। কিন্তু তার আগে ওয়েনাডের এমন ঘটনা বিরোধী ঐক্যে ধাক্কা দেবে না তো? প্রশ্ন নানা মহলের। 


মুখোমুখি সিপিএম-কংগ্রেস


জাতীয় স্তরে যে সমীকরণই তৈরি হোক না কেন, কেরলে সিপিএম বনাম কংগ্রেস দ্বৈরথের ধারা বদলানোর নয়। অতীতেও দক্ষিণের ওই রাজ্যে নানা ইস্যুতে সংঘাতে জড়িয়েছে দুই দল। সে দিক থেকে আজকের ঘটনা অভূতপূর্ব হয়তো নয়। তবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে ঘটনাটিকে আলাদা গুরুত্ব দিচ্ছেন অনেকেই। পরিস্থিতি বুঝে কড়া মুখ্যমন্ত্রীও। জানিয়েছেন, প্রতিবাদের নামে হামলার সিদ্ধান্ত ভুল।  ঘটনার প্রতিবাদে এর মধ্যেই রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করেছে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী ছবি দেওয়া ফ্লেক্স ছিড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। তিরুবনন্তপুরমের এআর পুলিশ শিবিরের বাইরেও তুমুল বিক্ষোভে সামিল প্রতিবাদীরা। ডিওয়াইএফআই কর্মীদের সঙ্গে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের খবরও এসেছে একাধিক জায়গা থেকে। এক কংগ্রেস নেতা আহত হয়েছেন বলেও খবর।    


 


আরও পড়ুন: সনিয়া-মমতাদের ফোন করে সমর্থন চাইলেন NDA প্রার্থী দ্রৌপদী