কলকাতা: বিজেপির অ্যাজেন্ডাকেই সুবিধা করে দিচ্ছেন। আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মাকে ট্যুইটে পাল্টা আক্রমণ করলেন অধীর চৌধুরী। ট্যুইটারে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি লেখেন, পশ্চিমবঙ্গে সিপিএম একটি ধর্মনিরপেক্ষ ফ্রন্টের নেতৃত্ব দিচ্ছে। তারই অংশ আমরা।


আব্বাস সিদ্দিকির দলের হাত ধরা নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের ওপর ক্ষোভ উগরে দিলেন আনন্দ শর্মা। ‘দলের  নীতি-ঐতিহ্যের সঙ্গে এই ধরণের দলের সঙ্গ নেওয়া খাপ খায় না’ কেন্দ্রীয় কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা আনন্দ শর্মা ঠিক এমনই চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানান। যার পাল্টা হিসেবে টুইটারেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিও নিজের বার্তা দেন।


অধীর চৌধুরি বলেন, আমরা বিজেপির সাম্প্রদায়িক, স্বৈরতান্ত্রিক রাজনীতিকে পরাস্ত করতে চাই। যাঁরা সিপিএম নেতৃত্বাধীন এই ফ্রন্টকে সাম্প্রদায়িক বলছেন তাঁরা আসলে বিজেপির বিভেদের রাজনীতিকেই সমর্থন করছে। তাই যাঁরা এর পক্ষে তাঁরা পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে আমাদের পাশে দাঁড়ান। তা না করে অনেকে বিজেপির অ্যাজেন্ডা অনুযায়ী কাজ করছেন।


পাশাপাশি একধাপ এগিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমন ফিরিয়ে দিয়ে অধীর চৌধুরী জোড়েন, কংগ্রেসের একাংশকে অনুরোধ পার্সোনাল কমফর্ট জোনে থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করা বন্ধ করুন। এঁদের উচিত কংগ্রেসকে শক্ত করা। যে গাছের তলায় বড় হয়েছেন তাকে ধ্বংস করবেন না।


টুইটে অধীর চৌধুরীরকে সরাসরি কাঠগড়ায় তুলে আনন্দ শর্মা বলেছিলেন, ‘এই ধরণের জোট করার আগে কেন্দ্রীয় কমিটির থেকে ছাড়পত্র নেওয়া উচিত ছিল। আর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এই ধরণের দলের সঙ্গে মঞ্চ-ভাগ করার ঘটনা বেদনাদায়ক ও লজ্জাজনক, তাঁকে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে।’


এমনিতেই ব্রিগেড-মঞ্চ থেকেই অস্বস্তি সঙ্গী হয়েছে কংগ্রেসের। প্রথমে অধীর চৌধুরী বক্তব্য রাখার সময় যখন আব্বাস সিদ্দিকি মঞ্চে ওঠেন তখন জনতার প্রবল চিৎকারে বক্তব্য থামাতে হয় অধীর চৌধুরীকে। তাল-কাটার সেই শুরু।


(আরও পড়ুন- 


আব্বাসের সঙ্গে মঞ্চ-ভাগ ‘লজ্জাজনক’, অধীরকে নিশানা আনন্দ শর্মার, আরও তীব্র জোট-ফাটল )


গতকাল কংগ্রেসের এক নেতার বিরুদ্ধে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস দুই দলের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখার বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন আব্বাস। যার পরই অধীর চৌধুরীর পদক্ষেপকে আক্রমণ শানান আনন্দ শর্মা। যার পাল্টা দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।


সবমিলিয়ে জোট-জটিলতা ও প্রকাশ্যে এসে পড়া অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, দ্বিমুখী অস্বস্তির মধ্যে কংগ্রেস শিবির।