মুম্বই : পুলিশের হাতে  সিদ্ধার্থ  শুক্লর ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এসেছে। মৃত্যুর পিছনে ছিল কি হার্ট অ্যাটাক ছাড়া অন্য কোনও কারণ? রিপোর্টেই  তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। মুম্বইয়ের কুপার হাসপাতালে অভিনেতার মৃতদেহের পোস্টমর্টেমের হয়। সেই পদ্ধতিটি নাকি ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছে। রিপোর্টে কী আছে, তা আনুষ্ঠানিকভাবে  আজ জানাতে পারে মুম্বই পুলিশ। 
সূত্রের খবর, শেষকৃত্যর জন্য আজই অভিনেতার দেহ তুলে দেওয়া হবে আত্মীয়দের হাতে। দুপুর নাগাদ অন্ত্যেষ্টি হতে পারে  প্রয়াত অভিনেতার, খবর পরিবার সূত্রে। 




আরও পড়ুন : ৪০ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের হার বাড়ছে কেন ? কী সতর্কতা ?


মাত্র ৪০-এই জীবনকে বিদায় জানালেন জনপ্রিয় অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লা। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। সুঠাম চেহারা। আগে কোনও শারীরিক অসুস্থতার খবর নেই। নিয়মিত শরীরচর্চা। অথচ হঠাৎই জীবন শেষ...ঘুমোলেন আর উঠলেন না! সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ বুকে ব্যাথ্যা অনুভব করায় ঘুম থেকে ওঠেন সিদ্ধার্থ শুক্লা। জল খেয়ে শুয়ে পড়েন। সকালবেলা ফের ঘুম থেকে উঠে জল খান। সেই সময় হঠাৎই অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে ৪০ বছর বয়সী অভিনেতার মা, তাঁর মেয়ে ও চিকিৎসককে ডেকে পাঠান। চিকিৎসক শারীরিক পরীক্ষার পর সিদ্ধার্থের পালস পাচ্ছিলেন না। সকাল ১০টা ২০ নাগাদ তাঁকে মুম্বইয়ের কুপার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান হাসপাতালে আসার আগেই সিদ্ধার্থ শুক্লার মৃত্যু হয়েছে। 

জনপ্রিয় অভিনেতার এই হঠাত্ প্রয়াণে শোকস্তব্ধ অনুরাগীরা। আতঙ্কে মধ্যবয়সী তরুণ-তরুণীরা। এত কম বয়সে, এরকম ঝাঁ-চকচকে ফিট চেহারার মানুষেরও কী করে হার্ট অ্যাটাক হয়? 


হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ  ধীমান কাহালি জানাচ্ছেন, ' এই ঘটনায় আমি আশ্চর্য হচ্ছি না। আমার কাছে প্রচুর পেশেন্ট আসে।  ইউরোপের থেকে এখানে ১০-১৫ বছর আগেই এই প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। চিন্তার বিষয় হল এই প্রবণতা আরও বাড়ছে। মধ্যবয়সিদের মধ্য সাডেন কার্ডিয়াক ডেথের সংখ্যা বাড়ছে। এঁদের মধ্যে  খেলোয়াড় রয়েছে, অভিনেতা রয়েছে।'