নয়াদিল্লি: যাঁরা পথকুকুরদের (stray dogs) নিয়মিত খাবার (feed) দেন, টিকাকরণের (vaccination) ব্য়বস্থাও তাঁদেরই করতে হবে। শুক্রবার জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (supreme court)। শুধু তা-ই নয়। পথকুকুররা যদি কাউকে আক্রমণ (attack) করে, তা হলে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার (treatment) খরচও বহন করতে হবে তাঁদের। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি জে কে মাহেশ্বরীর বেঞ্চের বক্তব্য, প্রাণী অধিকার ও মানুষের নিরাপত্তার মধ্যে একটা ভারসাম্য থাকা উচিত।


কী বলছে শীর্ষ বিচারালয়?
বিচারপতি খান্নার পর্যবেক্ষণ, 'আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই কুকুর পছন্দ করেন। আমি নিজেও কুকুরদের খাওয়াই। এক্ষেত্রে একটি বিষয় আমার মনে হয়েছে। যদি কেউ কুকুরদের যত্নআত্তি করতে চান, করুন। তবে তাদের চোখে চোখে রাখতে হবে। চিপ দিয়ে তাদের গতিবিধিতে নজরদারি চালালে হবে না। আমি এর পক্ষে নই।' পথকুকুরদের হামলায় যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তার একটি যুক্তিযুক্ত সমাধান জরুরি, জানায় সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ সেপ্টেম্বর। তার মধ্যে সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষকে জবাব জমা দিতে বলা হয়েছে।


কুকুরের কামড় নিয়ে...
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ থেকে এখনও পর্যন্ত এ দেশে সার্বিক ভাবে প্রাণীর দংশনের ঘটনা ঘটেছে প্রায় দেড় কোটি। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে উত্তরপ্রদেশে, তার পর তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র। চতুর্থ স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এর মধ্যে স্রেফ ২০১৯ সালেই সাড়ে ৭২ লক্ষেরও বেশি এমন ঘটনা ঘটে। ২০২০ এবং ২০২১ সালে কুকুরের কামড়ের পরিসংখ্যান কিছুটা কমেছিল। কিন্তু চলতি বছরের প্রথম সাত মাসেই সাড়ে চোদ্দো লক্ষ ঘটনা ঘটে গিয়েছে। এর মধ্যে তামিলনাড়ু শীর্ষে। পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখলে বোঝা যায়, এই ঘটনাগুলির মধ্যে বাড়ির পোষ্যের হাতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের তুলনায় পথকুকুরদের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা অনেক বেশি। এমনিতেই এ দেশে গড়ে ফি বছর rabies আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা একশোরও বেশি। তার উপর কুকুরের কামড়ে এই হারের মৃত্যু। সব মিলিয়ে চিন্তার ভাঁজ আমজনতা থেকে প্রশাসন, সকলের মধ্যেই। বস্তুত এই সমস্যা সমাধানে কেরল ও মুম্বইয়ের বেশ কয়েকটি পুরকর্তৃপক্ষ পথকুকুর নিধনের নির্দেশ জারি করেছিল। সেই সংক্রান্ত মামলারই শুনানি চলছে শীর্ষ আদালতে। আর তাতেই পর্যবেক্ষণ বিচারপতি খান্না ও বিচারপতি মাহেশ্বরীর বেঞ্চের। 


আরও পড়ুন:ব্যবসায়ীর বাড়িতে খাটের নিচে কোটি কোটি টাকা, ইডি অভিযানে চাঞ্চল্যকর তথ্য