Supreme Court: ছোটবেলা কেমন ছিল, আরও অপরাধের রেকর্ড আছে কি, মৃত্যুদণ্ডের ক্ষেত্রে আসবে অভিন্ন নির্দেশিকা!

Death Penalty: অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হলে, তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া নিয়ে নানাজনের নানা মত রয়েছে।

Continues below advertisement

নয়াদিল্লি: বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড (Death Sentence) আদৌ কার্যকর রাখা উচিত কি না, সেই নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। সেই আবহেই মৃত্যুদণ্ড সংক্রান্ত অভিন্ন নির্দেশিকা প্রণয়নে (Uniform Gudelines for Capital Punishment) উদ্যোগী হল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হলে, তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া নিয়ে নানাজনের নানা মত রয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে মৃত্যুদণ্ড নিয়ে অভিন্ন নির্দেশিকা প্রণয়ন নিয়ে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে শীর্ষ আদালত। ফ্রেমিং গাইডলাইন্স রিগার্ডিং পোটেনশিয়াল মিটিগেটিং সারকামস্ট্যান্সেরনামের একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলার উল্লেখ করে এ নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণের কথা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

Continues below advertisement

মৃত্যুদণ্ড সংক্রান্ত মামলায় নির্দেশিকা তৈরির নির্দেশ সুুপ্রিম কোর্টের

সোমবার আদালতের তরফে এই পদক্ষেপ করা হয়। যে সমস্ত মামলায় সাজা স্বরূপ মৃত্যুদণ্ড অবধারিত, সে ক্ষেত্রে দোষী ব্যক্তির জন্য মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ ন্যায্য কি না, তা আলাদা ভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখার কথা বলা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ইউইইউ ললিত, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ এ ক্ষেত্রে একাধিক মামলার কথা উল্লেখ করে, যেখানে বিরল এবং জঘন্যতম অপরাধের ক্ষেত্রেই মৃত্যুদণ্ডের কথা বলা হয়েছে। তাই কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আগে তার অপরাধের গুরুত্ব নিয়েও আলাদা শুনানি হওয়া উচিত বলে মত আদালতের।  

আরও পড়ুন: Congress Presidential Elections: দৌড়ে নেই গাঁধী পরিবারের কেউ, কংগ্রেস সভাপতি হতে পারেন শশী, প্রতিদ্বন্দ্বী অশোক

বিষয়টি নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করে প্রধান বিচারপতিতে সিদ্ধান্ত হবে। আদালত জানিয়েছে, যে সমস্ত মামলা মৃত্যুদণ্ড অবধারিত, কী পরিস্থিতিতে দোষী ব্যক্তি ওই ঘটনা ঘটিয়েছে, তারও উল্লেখ থাকা দরকার। আদালত জানিয়েছে, মৃত্যুদণ্ডের ক্ষেত্রে অপরাধীর বিরুদ্ধেই জনমত ভারী থাকে। তাই তিনি ন্যায্য বিচার পাচ্ছেন কি না, তাও দেখা জরুরি। সাজা ঘোষণার পর নয়, শুনানি চলাকালীনই সাজা তা নিয়ে আলোচনা শুরুর পক্ষে। আদালত আরও জানিয়েছে, মৃত্যুদণ্ড একবার দিয়ে দিলে তা আর ফেরানো যায় না। তাই দোষী ব্যক্তিরও সাজা প্রমণের সমস্ত সুযোগ, সুবিধা প্রাপ্য।

দোষী ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে বিতর্ক চলছেই

জঘন্যতম বা বিরলতম অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে দোষাীর বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা, জীবনে কোনও বড় ধাক্কা খেয়েছে কি না, পারিবারিক পরিস্থিতি, মানসিক অবস্থা, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরের আচরণ, আগে অপরাধের কোনও রেকর্ড রয়েছে কি না, সেই সংক্রান্ত বিশদ তথ্য থাকা প্রয়োজন আদালতেরা কাছে। তবেই বোঝা যাবে, তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া আদৌ কার্যকর কি না।

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola