নয়াদিল্লি: বিদেশ-সফরের (foreign travel) কোনও রেকর্ড নেই। তবে দেহে মাঙ্কিপক্সের (monkey pox) উপসর্গ ষোলো আনা। এমনই এক সন্দেহভাজন (Suspected Case) আক্রান্তের হদিশ মিলেছে হিমাচল প্রদেশে (himachal pradesh), জানাল সংবাদসংস্থা পিটিআই। তবে তাঁর সত্যিই মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ হয়েছে কিনা জানতে নমুনা গিয়েছে পুনের (Pune) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি-তে। সেখান থেকে রিপোর্ট এলেই এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে।


কী ঘটনা?
হিমাচলের 'বাদি' এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির দেহে অন্তত ২১ দিন আগে মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ দেখা যায়। এখন তিনি সুস্থও হয়ে উঠছেন। তবে সতর্কতার খাতিরে তাঁকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। লাগোয়া এলাকায় নতুন কোনও সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে কিনা, সেটাও কড়া নজরে রেখেছে প্রশাসন। প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুলাই লোকসভায় কেন্দ্রীয় সরকার জানায় দেশে মাঙ্কিপক্স সংক্রমিতের সংখ্যা ৪। এর মধ্যে কেরলের বাসিন্দা ৩ জন, চতুর্থ জন দিল্লিবাসী। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দিল্লির ঘটনাতেও কোনও বিদেশ সফরের রেকর্ড ছিল না বলে জানায় প্রশাসন। কেরলের ৩ সংক্রমিতের ক্ষেত্রে অবশ্য বিষয়টি তা নয়।


কী হয়?
মাঙ্কিপক্স 'জুনটিক ডিজিজ' নামে পরিচিত। সহজ কথায় এর অর্থ, বিভিন্ন প্রজাতির জীবজন্তু থেকে মানবদেহ বা মানুষের দেহে জীবজন্তুর দেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটতে পারে। সাধারণত সংক্রমিত ব্য়ক্তির সংস্পর্শে এলে বা তাঁর দেহরসের সংস্পর্শ, জামাকাপড় বা বেডশিটের ছোঁয়াচ লাগলে আর এক জনও আক্রান্ত হতে পারেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আক্রান্তের জ্বর, শরীরে ব্যথা, শীত ভাব এবং RASH দেখা দেয়। সঙ্গে থাকতে পারে ক্লান্তিও। গত সপ্তাহে বিশ্বের ৭৫ টি দেশে ১৬ হাজারেরও বেশি মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের হদিস মেলে বলে খবর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়,  এটিকে গ্লোবাল হেলথ এমার্জেন্সি কনসার্ন বলে ঘোষণা করে। এই মুহূর্তে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের টিকার সংখ্যাও কম। তার উপর কোভিডের দাপট পুরোপুরি কমেনি। সব মিলিয়ে খানিকটা চিন্তার কারণ থাকছেই।


এর মধ্যে আবার হিমাচল প্রদেশের সন্দেহভাজন আক্রান্তের খবর।


আরও পড়ুন:পুরসভাকে করফাঁকির অভিযোগ, অর্পিতার 'ইচ্ছে' বাড়ি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ ফিরহাদ হাকিমের