বেঙ্গালুরু: শিক্ষাকেন্দ্রে পড়ুয়াদের পোশাক নিয়ে বিতর্ক (Unrest over Hijab)। তার জেরে পড়াশোনা শিকেয় উঠেছে আগেই। মামলা পৌঁছেছে আদালত পর্যন্ত। বিগত কয়েক দিন ধরেই তা নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে। তার মধ্যেই আগামী তিন দিন কর্নাটকের (Karnataka Hijab Row) সমস্ত স্কুল এবং কলেজ বন্ধ রাখা হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই এমন নির্দেশ দিয়েছেন। শান্তি এবং সম্প্রীতি রক্ষার্থেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তিনি।


ক্লাসরুমে হিজাব পরে ঢোকা নিষিদ্ধ করার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কর্নাটক হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন উদুপির পাঁচ কলেজ পড়ুয়া তরুণী। সেই নিয়ে মঙ্গলবার এক দফা শুনানি হয়েছে আদালতে। বুধবারও শুনানি হবে। পড়ুয়াদের সকলকে শান্তি বজায় রাখার আর্জি জানিয়েছে আদালত। তবে আদালতের শুনানির আগেই আগামী তিন দিনের জন্য স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার ঘোষণা করেন বাসবরাজ।


এ দিন সকালে বাসবরাজ টুইটারে লেখেন, ‘সব স্কুল-কলেজের পড়ুয়া, শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্তৃপক্ষ এবং কর্নাটকের নাগরিকদের কাছে অনুরোধ, শান্তি এবং সম্প্রীতি বজায় রাখুন। আগামী তিন দিনের জন্য সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি আমি। এ ব্যাপারে প্রত্যেকের সহযোগিতা কাম্য।’


গত জানুয়ারি মাসে হিজাব ঘিরে বিতর্ক চরমে ওঠে। উদুপির গভর্নমেন্ট গার্লস পিইউ কলেজে হিজাব পরিহিত ছয় মেয়েকে কলেজে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। দক্ষিণপন্থী সংগঠনের তরফে এই দাবি ওঠে বলে অভিযোগ করেন হেনস্থার শিকার ওই মেয়েরা।



আরও পড়ুন: PM Modi on Mangeshkar’s Brother: রাজ্যসভায় কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ মোদির, টেনে আনলেন সদ্য প্রয়াত লতার ভাইকে


চলতি মাসের শুরুতে নতুন করে সেই বিতর্কের আগুনে ঘি পড়ে। উদুপি এবং চিকমাগালুরুর দক্ষিণপন্থী সংগঠনগুলি মুসলিম মেয়েদের হিজাব পরে স্কুল-কলেজে ঢোকায় আপত্তি তোলে। বিবাদ এতটাই চরমে পৌঁছয় যে, মুসলিম মেয়েদের হিজাবের পাল্টা শুক্রবার গেরুয়া ওড়না পরে কলেজে আসতে দেখা যায় পড়ুয়াদের একাংশকে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিক্ষোভ হিংসাত্মক আকার ধারণ করে সেখানে। বিক্ষোৎভকারী পড়ুয়াদের টপকে কলেজের ফটকে গেরুয়া পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই নিয়ে বচসা থেকে পরস্পরকে লক্ষ্য করে চলে পাথর ছোড়াছুড়ি।


অন্য দিকে, মাণ্ড্যর একটি কলেজে একটি মুসলিম মেয়েক ঘিরে  গেরুয়া পরিহিত যুবকদের ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তোলার ভিডিও উঠে এসেছে নেটমাধ্যমে। পাল্টা ওই তরুণীকে ‘আল্লাহ্ হু আকবর’ বলতে শোনা গিয়েছে।