লখনউ, উত্তরপ্রদেশ: লখনউয়ের হজরতগঞ্জে হোটেলে বিধ্বংসী আগুন। অগ্নিকাণ্ডের জেরে হোটেলজুড়ে ছড়াল আতঙ্ক। হোটেলের অনেকগুলি ঘরে আটকে পড়েছেন বহু আবাসিক। বেশ কয়েকজন আবাসিক আগুন ঝলসে গিয়েছেন বলে আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে দমকল বাহিনী। হোটেলের কাচের জানলা ভেঙে আবাসিকদের বাইরে বার করার কাজ চলছে। 






জানা গিয়েছে, লখনউয়ের হজরতগঞ্জে হোটেলে দাউদাউ আগুনের মাঝেই অনেকগুলি ঘরে আটকে পড়েছেন বহু আবাসিক। এই মুহূর্তে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে দমকল। জানা গিয়েছে, এটি একটি লখনউয়ের অভিজাত এলাকা নামী হোটেল।দম আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি, হোটেলের মোট কত জন লোক ছিলেন, কতজন বেঁচে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই ফোল্ডিং সিড়ি লাগিয়ে, হোটেলের কাচ ফাটিয়ে আবাসিকদের যত দ্রুত সম্ভব উদ্ধার করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্সে এসে গিয়েছে। জখম আবাসিকদের উদ্ধার করে পাঠানো হচ্ছে চিকিৎসা কেন্দ্রে।


প্রসঙ্গত , এমনই এক সকালে চলতি বছরের শুরুতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড লেগেছিল বাণিজ্যনগরীতে । বহুতল আবাসনের ১৮ তলায় বিধ্বংসী আগুন । তাতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ৭ জনের। ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন কমপক্ষে ১৫ জন।মুম্বইয়ের তারদেও এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সকাল ৭টা নাগাদ গাঁধী হাসপাতালের ২০ তলার ওই বহুতলের ১৮ তলা থেকে আগুনের খবর ছড়িয়ে পড়ে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে।ঘটনাস্থলে  নিয়ে আসা হয় দমকলের ১৩টি ইঞ্জিন। নিয়ে যাওয়া হয় ওয়াটার জেটি এবং আগুন নেভানোর অন্যান্য সরঞ্জাম। এই অগ্নিকাণ্ডকে তৃতীয় পর্যায়ে ফেলেন দমকলকর্মীরা।


আরও পড়ুন, 'ইডি-সিবিআই চুরি ধরলে তৃণমূলের মুখ চুন হবে ঠিকই', কথায় 'কিন্তু' রেখে ফের বিস্ফোরক তথাগত


 তবে বাইশের শুরুতে বাংলার বুকেও একটি হোটেলে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছিল।  সেবার নিউ দিঘার হোটেলে ভয়াবহ আগুন লাগে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আশপাশের এলাকা। পর্যটকদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে আনা হয় প্রথমে দমকলের ২টি ইঞ্জিন। দমকল বাহিনীর পক্ষ থেকে জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চলে। তবেকিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।  প্রথমেই হোটেলের কর্মী ও স্থানীয়রাই পর্যটকদের বের করে আনার চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও দমকল। হোটেল খালি করে দেওয়া হয়। হোটেলে কেউ আটকে নেই বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। তবে লখনউয়ের ক্ষেত্রে মর্মান্তিক খবর হল এটাই, ওই হোটেলে এখনও ভিতরে আটকে বহু মানুষ, আর সেই সংখ্যাটা ঠিক কত  তা জানা যায়নি।