হিন্দোল দে, কলকাতা: উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিং করতে গিয়ে তুষারধসের কবলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ জন বাঙালি অভিযাত্রীর। উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বর কন্ট্রোল রুম থেকে এ খবর জানানো হয়েছে।
মৃতদের মধ্যে তিনজন হাওড়ার বাগনানের বাসিন্দা, ১ জনের বাড়ি ঠাকুরপুকুর। আর একজনের বাড়ি নদিয়ার রানাঘাটে।
পরিবার সূত্রে খবর, সুন্দরডুঙ্গা উপত্যকা থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫ জনের মৃতদেহ। মৃতদের পরিবার সূত্রে খবর, গত ১০ অক্টোবর এই ৫ জন রওনা দেন। গত ১৭ অক্টোবর তাঁরা দুর্ঘটনায় পড়েন।
পরিবারের দাবি, গতকাল বিকেলে খবর আসে এই পাঁচজনের যে দলটি তাদের প্রত্যেককেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বাগেশ্বর কন্ট্রোলরুম থেকে পরিবারকে সরকারিভাবে এই মৃত্যুর খবর জানানো হয়।
পুজোর ছুটিতে বেড়াতে গিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখে পড়েছেন বাংলার বহু পর্যটকও। দশমীর দিন হাওড়া থেকে নৈনিতালের উদ্দেশে রওনা দেন কমপক্ষে ৫০ জন পর্যটক।
আরও পড়ুন: কিন্নরে ট্রেক করতে গিয়ে নিখোঁজ ১৭, উত্তরাখণ্ডে বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৪
কারও বাড়ি ডোমজুড়, কারও দাসনগর, আন্দুলে। দ্বাদশীর দিন নৈনিতাল থেকে কৌশানি যাওয়ার পথে প্রবল বৃষ্টি ও ধসে আটকে পড়েন তাঁরা। কাচছি ধাম যাওয়ার পর আর এগোতে পারেননি।
বৃষ্টি ও ধসে রেললাইনের ব্যপক ক্ষতি হওয়ায় বাড়ি ফেরা অনিশ্চিত, তবে ফোনে কথা হওয়ায় কিছুটা স্বস্তিতে পরিবার। আটকে পড়া ডোমজুড়ের পর্যটকের আত্মীয় বললেন, শনিবার লালকুয়া স্টেশন থেকে হাওড়ামুখি ট্রেন ধরার কথা। এখন তার দিকেই তাকিয়ে আছি। ভিডিও কল করেছে।
বুধবার যোগাযোগ করা গেছে, পঞ্চমীর দিন হাওড়ার বাগনান থেকে উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে গিয়ে ধসে আটকে পড়া পর্যটকদের সঙ্গেও। আটকে পড়া পর্যটকের আত্মীয় জানান, ফোন এসেছিল, কথা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড, আটকে শতাধিক পর্যটক
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার, উত্তরাখণ্ডে আটকে পড়া হুগলির চুঁচুড়ার পর্যটকদের বাড়িতে যান স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক। জানান, পর্যটকদের পাশে আছি।
আটকে পড়া চুঁচুড়ার বাসিন্দা এক পর্যটকের আত্মীয় জানান, এখনও ধস নেমে আছে, ৭ জন ভওয়ালিতে আছে। প্রার্থনা এখন একটাই, দ্রুত ঘরের মানুষ, ঘরে ফিরুক।