কলকাতা : এবার ঢাকায় ইসকনের আরও একটি মন্দিরে আগুন। জ্বালিয়ে দেওয়া হল লক্ষ্মী-নারায়ণের মূর্তি। এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন ইসকনের কলকাতা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস। তাঁর দাবি, 'জ্বালিয়ে দেওয়া হল লক্ষ্মী-নারায়ণের মূর্তি। মধ্যরাতে রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা'।                                         


তিনি লিখেছেন, ' বাংলাদেশে নামহাট্টায় ইসকনের  আরও একটি কেন্দ্র পুড়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে শ্রী শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণের বিগ্রহ এবং মন্দিরের ভিতরের সমস্ত জিনিসপত্র সম্পূর্ণ রূপে পুড়ে যায় । কেন্দ্রটি ঢাকায় অবস্থিত। আজ ভোররাত ২ থেকে ৩ টার মধ্যে, দুষ্কৃতীরা শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দির এবং শ্রী শ্রী মহাভাগ্য লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করে। মন্দিরটি তৎকালীন তুরাগ থানার আওতাধীন ধৌর গ্রামে অবস্থিত হরে কৃষ্ণ নামহট্ট সংঘের অধীনে পড়ে। মন্দিরের পিছনের টিনের ছাদ তুলে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালানো হয় । মন্দিরের ঠিকানা: H-02, R-05, Ward-54, DNCC, Dhaka 1230'  


হিন্দুদের প্রতি তীব্র ঘৃণা, আর ততোধিক ভারত বিদ্বেষের আগুনে জ্বলছে বাংলাদেশ। গত কয়েকদিনে  দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিন্দু মন্দির তছনছ করার অভিযোগ এসেছে। শুধু মন্দির লন্ডভন্ড করা নয়, দেব দেবীর বিগ্রহও নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে মন্দিরে তাণ্ডব চালানো বা সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করার কারণে এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে শোনা যায়নি। বরং সংখ্যালঘুদের অধিকারের দাবিতেসরব হওয়া ইসকনের সাধু চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে করা হয়েছে গ্রেফতার। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা আনা হয়েছে। প্রথম শুনানিতে জামিন নাকোচ করা হয়েছে। পরের শুনানিতে এমন ত্রাস সৃষ্টি করেছে উগ্রবাদীরা যে, চিন্ময়কৃষ্ণ দাস প্রভুর জামিন চেয়ে কেউ আদালতে আর আসতেই পারেননি। এখনও জেলবন্দিই ইসকনের সন্ন্যাসী। যতই দিন গড়াচ্ছে, ততই উগ্র হচ্ছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের প্রতি বিদ্বেষভাব। হিন্দু নাগরিকদের প্রতি অত্যাচার, জমি কেড়ে নেওয়া,ভয় দেখানো, কিছুই বাদ যাচ্ছে  না। এরই মধ্যে ৩ ডিসেম্বর রাতে হিন্দুদের শতাধিক বাড়ি, ব্য়বসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুঠপাট করা হয়।  দোয়ারাবাজারে লোকনাথ মন্দিরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ঘটনায় সংখ্যালঘুরা আতঙ্কিত। অনেকেই ভয়ে সিলেট-সহ অন্যত্র চলে  যায়।  


আরও পড়ুন :

'শাড়ি পোড়ানো যায়, ইতিহাস নয়', বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভে ভারতের ভূমিকা মনে করালেন সুমন দে