Srinagar Terror Attack Update: শ্রীনগরে হামলার রিপোর্ট তলব প্রধানমন্ত্রীর, শোকপ্রকাশ মমতা-রাহুলের
Srinagar Terror Attack Update: মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ নরেন্দ্র মোদির। শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সহ কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi)।
নয়াদিল্লি: ফের জঙ্গি হানার ঘটনা জম্মু–কাশ্মীরে (Jammu-Kashmir)। এদিন শ্রীনগরের জিওয়ানে সশস্ত্র পুলিশের বাসে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় জঙ্গিদের। ঘটনা নিহত হন ২ জন পুলিশকর্মী। আহত ১৪ জন পুলিশকর্মী। শ্রীনগরে হামলার রিপোর্ট তলব করলেন প্রধানমন্ত্রীর (PM Narendra Modi)। মৃত নিরাপত্তারক্ষীদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ নরেন্দ্র মোদির। এদিন প্রধানমন্ত্রীর দফতর (PMO) থেকে ট্যুইটে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার বিস্তারিত তথ্য চেয়েছেন। হামলায় মৃত নিরাপত্তারক্ষীদের পরিবারের প্রতিও তিনি সমবেদনা জানিয়েছেন।
এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) সহ কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi)। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইটে লেখেন, “শ্রীনগরে জঙ্গি হামলার খবর শুনে হতবাক। পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। যাঁরা প্রাণ হারালেন তাঁদের আত্মত্যাগকে সেলাম জানাই। এই দেশ কখনও আপনাদের ভুলবে না।''
কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী লেখেন, “দেশ চায় শান্তি, আতঙ্কের হোক অবসান। শ্রীনগরে শহিদ জওয়ানদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।’’
জম্মু-কাশ্মীরের মাটিতে ফিরে এল পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার স্মৃতি। শ্রীনগরে রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের বাসে অতর্কিতে হামলা চালাল জঙ্গিরা। মৃত্যু হল একজন ASI-সহ একাধিক পুলিশকর্মীর। জখম হয়েছেন আরও কয়েকজন। সোমবার শ্রীনগরের জিওয়ানে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের দিকে যাচ্ছিল রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের এই বাসটি। সূত্রের খবর, বাসটিতে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর ৯ নম্বর ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ছিলেন। বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে জাতীয় সড়কের কাছেই বাসটির উপর অতর্কিতে গুলিবর্ষণ শুরু করে জঙ্গিরা। সূত্রের খবর, পুলিশকর্মী বোঝাই বাসের ছাদে উঠে এক জঙ্গি স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে গুলিবর্ষণ করে। কীভাবে চারদিক থেকে গুলি ছোঁড়া হয়েছে, তা বাসের গায়ে গুলির চিহ্ন দেখেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। চুরমার হয়ে গেছে কাচ।
জঙ্গিরা যেখানে হামলা চালিয়েছে, সেখান থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরেই রয়েছে বাদামিবাগ আর্মি ক্যান্টনমেন্ট। হামলার খবর পাওয়া মাত্রই, ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকা ঘিরে ফেলেন জওয়ানরা। ঘটনাস্থলের কাছেই নিরাপত্তাবাহিনীর একাধিক শিবির-সহ নানা সরকারি দফতর রয়েছে। কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকা ওই অঞ্চলে কীভাবে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে পালিয়ে গেল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। সূত্রের খবর, হামলার দায় স্বীকার করেছে কাশ্মীর টাইগার্স নামে এক জঙ্গি সংগঠন। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সিআরপিএফ জওয়ানদের বাসে হামলা চালিয়ে ৪০ জন CRPF জওয়ানকে খুন করেছিল জঙ্গিরা। এদিন শ্রীনগরের ঘটনা ফের সেই স্মৃতি উস্কে দিল।