নয়া দিল্লি: এবার দেশের 'পবিত্র তীর্থস্থান' কেদারনাথের (Kedarnath) মন্দির (Temple) নিয়ে বড় অভিযোগ তুললেন সেই মন্দিরেরই পুরোহিত। প্রায় ১২৫ কোটির আর্থিক তছরুপের অভিযোগও করেছেন তিনি। মন্দিরের মধ্যে যেখানে সোনার পাত বসানোর কথা ছিল, তার বদলে পিতলের পাত বসানো হয়েছে এমনটাই অভিযোগ। তাঁর অভিযোগ, সোনার পাত বসানোর নামে নিদেনপক্ষে ১২৫ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে। এই অভিযোগকে নিয়ে এবার ময়দানে নেমেছে মন্দির কমিটি।


পুরোহিতের অভিযোগ, সোনার পাত বসানোর নামে যা বসানো হয়েছে, সেগুলি বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ঔজ্জ্বল্য হারাচ্ছে। ভিতর থেকে বেরিয়ে পড়ছে পিতলের রূপ। তাঁর অভিযোগ, এর পিছনে রয়েছে বিরাট আর্থিক কেলেঙ্কারি। তাঁর অভিযোগ, গর্ভগৃহের ভিতর যে সোনার পাত বসানো হয়েছে, তা পরীক্ষা করা হয়নি।                                                           


এই নিয়ে একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে সামনে এসেছে। ত্রিবেদী সেখানে গর্ভগৃহের সোনার পাত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এই বিষয়ে মন্দির কমিটি ও আধিকারিকদের নিশানা করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির সমিতি বা বিকেটিসি কিংবা প্রশাসন— এই কাজ যারা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা প্রয়োজন। প্রতি বছর কয়েক কোটি মানুষ কেদারনাথ-বদ্রীনাথে পুজো দিতে যান। হিন্দু পীঠস্থানের অন্যতম হল কেদারনাথ-বদ্রীনাথ। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতি হওয়ায় সংস্কারের জন্য বেশ কিছুদিন মন্দির বন্ধ রাখতে হয়েছিল।



মন্দির কমিটি যদিও পুরোহিতের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে ত্রিবেদীর ভিডিও বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ায় রীতিমতো চাপে পড়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে মন্দির সংস্কারের পাশাপাশি উন্নত সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা হয়েছে ভক্তদের জন্য। তার ফলে কেদারনাথ মন্দিরে ভক্তদের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সাফল্য কিছু মানুষ মেনে নিতে পারছেন না।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেদারনাথ ধামের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।’


প্রসঙ্গত, মন্দিরের গর্ভগৃহে রুপোর পাত সরিয়ে সোনার পাত বসান মুম্বইয়ের এক ব্যবসায়ী। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সেই একই ব্যবসায়ী ২০০৫ সালে বদ্রীনাথের গর্ভগৃহেও সোনার পাত বসিয়ে দিয়েছিলেন।


 


আরও পড়ুন, বৃহস্পতি গ্রহে ঝলসে উঠল আলো! নাসার যান দেখল এক 'বিস্ময়' ঘটনা