কলকাতা: প্রবল বৃষ্টিতে কেরলের ওয়েনাডে ভয়াবহ ভূমিধসে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ১৫০ জনের বেশি মৃত্যুর খবর মিলেছে। ওয়েনাড়ে এই বিপর্যয়ের দায় বিজয়ন সরকারের ঘাড়েই চাপালেন অমিত শাহ (Amit Shah)। ওয়েনাড-বিপর্যয় নিয়ে কেরলের সিপিএম সরকারকে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিপর্যয়ের দায় কার?
প্রবল ধসে ওয়েনাডের মেপ্পাডিতে মৃত্যু মিছিল। মৃতের সংখ্যা ১৫০ পার। কাদামাটি সরিয়ে চলছে প্রাণের খোঁজ। আর এনিয়ে রাজ্যসভায় সিপিএম সরকারকে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিন অমিত শাহ বলেন, "বিশ্বের যে চারটি দেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে সতর্কবার্তা দিতে পারে, তার মধ্যে ভারত অন্যতম। ২৩ জুলাই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে কেরল সরকারকে সতর্ক করা হয়েছিল। ২৩ জুলাই, ৭দিন আগে। তারপর ২৪ গেছে, ২৫ গেছে, ২৬ তারিখ বলা হল ২০ সেন্টিমিটারের বেশি বৃষ্টি হবে, ভারী বৃষ্টি হবে, ধসের আশঙ্কা রয়েছে। কাদামাটিও ধসে পড়তে পারে। চাপা পড়ে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে। ভারত সরকার বিমানে ৯টি NDRF টিম পাঠিয়েছে, কেরল সরকার কী করেছে? লোকজন বেশি ছিলেন বা কম, বিপদের আশঙ্কা তো ছিল, তাদের স্থানান্তর করা হয়েছিল কি? কেন করা হয়নি? কে আটকেছিল? আর সরানো হলে মৃত্যু কীভাবে হল?''
কেরলের ওয়েনাডে ভূমিধসে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে ১৫০। ধ্বংসস্তূপের নিচে কয়েকশো মানুষের আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। আহতের সংখ্য়া শতাধিক। ওয়ানেডে উদ্ধারকাজে নেমেছে সেনা। পাহাড়ি এলাকায় বায়ুসেনার কপ্টারে করে দুর্গতদের উদ্ধার করা হচ্ছে। শতাধিক মানুষ হাসপাতালে ভর্তি। ভারী বৃষ্টি ও ধসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওয়েনাডের মেপ্পাডি, মুন্ডাকাই, চুরাল মালা এবং নুলপুঝার এলাকা। দুর্যোগের আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে ওয়েনাড, মালাপ্পুরম, ত্রিশূর-সহ একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি হয়েছে। অমিত শাহ বলেন, "ওয়েনাডের বিপর্যয় মোকাবিলায় নরেন্দ্র মোদি সরকার কেরলা সরকার এবং জনগণের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।