রঞ্জিত হালদার, কলকাতা: গড়িয়ায় কাউন্সিলর অফিসে ভাঙচুরের (Garia) ঘটনায় ধরা পড়ল আরও পাঁচজন তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) কর্মী। মঙ্গলবার ভোর রাতে গড়িয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। এই নিয়ে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয় তার মধ্যে চারজনের নাম এফআইআরে রয়েছে। হামলার ঘটনার পর থেকে তাদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। তবে তারা গা-ঢাকা দিয়ে ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার ভোরে তাদের ধরা হয়। ধৃতদের আজ বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে।
অন্যদিকে শনিবার দুপুরে হামলার ঘটনার পর থেকেই বন্ধ ছিল গড়িয়ায় তৃণমূল পৌরপিতার ওই কার্যালয়। মঙ্গলবার সকালে সেই কার্যালয় ফের খোলা হল। আজ থেকেই কার্যালয়ে বসা শুরু করলেন এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পিন্টু দেবনাথ। ফের এখান থেকেই আবার মানুষের জন্য পরিষেবা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে অফিসে হামলার বিষয়ে তিনি দাবি করেছিলেন, অভিযুক্তরা বিজেপি কর্মী। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, ওদের আবেদন গ্রহণ করা হয়নি। তারপরও ওরা দলের সমাবেশে অংশ নিয়েছিল। ওরা সবাই এলাকায় বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত। নির্বাচনের পর ওদের পার্টি অফিসে নিষেধ করা হয়েছিল। তাতে হতাশ হয়েই ওরা অস্ত্র নিয়ে পার্টি অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, লুটের টাকার ভাগ নিয়ে বনিবনা না হওয়ার জন্যই নিজেদের মধ্যে লড়াই করেছে তৃণমূল কর্মীরা। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগই নেই। নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব লোকাতে বিজেপির উপর মিথ্যা আরোপ দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লোকসভা ভোট মেটার পর থেকে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এটিকে সেই রকমই একটি ঘটনা বলে দাবি বিরোধীদের।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Kharagpur News: মুখ ঢাকা, বাইকে চেপে এসে পর পর গুলি, খড়গপুরে গুলিবিদ্ধ তৃণমূলকর্মী !