সৌভিক মজুমদার , কলকাতা : ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ। রাজ্য রাজনীতির শিরোনামে উঠে এসেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের এক অখ্যাত জনপদ। নন্দীগ্রাম ( Nandigram)। জমি অধিগ্রহণ ঘিরে বিক্ষোভ। পুলিশি অভিযান। গুলিতে ১৪ জনের মৃত্যু। রাজনৈতিক উথালপাথাল। 


পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের নেপথ্যে অন্যতম ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছিল নন্দীগ্রাম। যা নিয়ে আলোচনায় আজও এতটুকু ভাঁটা পড়েনি। সেই নন্দীগ্রামকাণ্ড নিয়েই এবার চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন প্রাক্তন IPS অফিসার এবং ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের প্রাক্তন অফিসার দিলীপ মিত্র। তাঁর দাবি, নন্দীগ্রামকাণ্ড ছিল ষড়যন্ত্রের ফসল!


দিলীপ মিত্র দাবি করেন, '  হোম সেক্রেটারি, চিফ সেক্রেটারি বারবার বলেছিল পুলিশ অ্যাকশন নেবেন না,ঘনবসতি এলাকা, জমি অধিগ্রহণ অসম্ভব। এক রাজনৈতিক ব্যক্তি ও আইবি অফিসার ষড়যন্ত্র করে অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট তৈরি করে অনিচ্ছুক চিফ মিনিস্টারকে কনভিন্স করতে' 

আরও পড়ুন :


বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ৪ বার ‘খুনের ছক’ ! চাঞ্চল্যকর দাবি প্রাক্তন আইপিএসের


নন্দীগ্রামকাণ্ডে চার্জশিট পেশ করার আগেই বুদ্ধবাব ভট্টাচার্যকে ( Buddhadeb Bhattacharjee) কার্যত ক্লিনচিট দিয়ে মহাকরণে রিপোর্ট পাঠিয়েছিল সিবিআই। রিপোর্টে বলা হয়, নন্দীগ্রামে গুলি চালানোর ঘটনায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই। গত বিধানসভা ভোটের সময় নন্দীগ্রাম নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির টানাপোড়েন যখন তুঙ্গে, তখন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিলেন, ' নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুরে এখন শশ্মানের নীরবতা। সে সময়ের কুটিল চিত্রনাট্যের চক্রান্তকারীরা আজ দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি করছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ হারিয়েছে বাংলার যুব সমাজ।' 

এই প্রেক্ষাপটে নন্দীগ্রাম নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন প্রাক্তন IPS অফিসার। এছাড়াও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে চারবার খুনের ছক কষা হয়েছিল! এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন, প্রাক্তন IPS অফিসার এবং গোয়েন্দাকর্তা দিলীপ মিত্র। কীভাবে সেই ষড়যন্ত্রের কথা জানা গেছিল? কীভাবে গ্রেফতার করা হয়েছিল চক্রীদের? সেই রুদ্ধশ্বাস কাহিনি এবিপি আনন্দকে জানিয়েছেন তিনি। 


.


.