কলকাতা:  আজ রবিবার মহাপঞ্চমী৷ তাই সকাল থেকেই ছুটির মুডে উৎসবপ্রিয় বাঙালি। কাল, ষষ্ঠীতে দেবীর বোধন হলেও বহু মণ্ডপেই মা এসে গিয়েছেন। 


ঢাকের আওয়াজে ঘুম ভেঙেছে অনেকেরই। শরতের ঝলমলে আকাশ মাঝেমধ্যেই ঢাকছে মেঘে। তবে বৃষ্টির ভ্রুকুটি পুজোর আনন্দ এখনও মাটি করতে পারেনি। 


চতুর্থীর রাত থেকেই শুরু হয়েছে ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখা। পঞ্চমীর রাতে সেই ভিড় বাড়বে আরও। করোনা আবহে নিরাপত্তার বাড়তি ব্যবস্থা করা হয়েছে বড় পুজোর মণ্ডপগুলিতে। 


আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পুজোর মধ্যে বৃষ্টির ভ্রুকুটি রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পঞ্চমী থেকেই আবহাওয়ার উন্নতি হবে। ষষ্ঠী-সপ্তমী খুব একটা বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে অষ্টমীতে বৃষ্টিতে ভাসতে পারে তিলোত্তমা। 


আরও পড়ুন: পুজোয় খোলা রেস্তোরাঁ, পানশালা; কোভিড বিধিনিষেধ আরও কিছুটা শিথিল রাজ্যে


আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তর আন্দামান সাগরে তৈরি হচ্ছে  একটি নিম্নচাপ। তার অভিমুখ দক্ষিণ ওড়িশা ও উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে।  এই নিম্নচাপের জেরে, অষ্টমীর দিন উপকূলের জেলা, অর্থাৎ, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। নবমী-দশমী বাড়তে পারে বৃষ্টির পরিমান। 


তবে, উত্তরে আবহাওয়ার উন্নতি হবে। আগামী এক সপ্তাহে উত্তর বঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।  পুজোয় বৃষ্টির ভ্রুকুটি। জমা জল রুখতে তত্পর কলকাতা পুরসভাও। 


কলকাতা পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টি না হলে সব ঠিক থাকবে। খুব বৃষ্টি হলে শহরের রাস্তায় জল জমতে পারে।


এদিকে, চতুর্থীর দিনই বিসর্জনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল কলকাতা পুরসভা। দইঘাট, নিমতলা, জাজেশ ঘাট সহ, গঙ্গার বিভিন্ন ঘাট ঘুরে দেখেন পুরসভার আধিকারিকরা। 


আরও পড়ুন: মণ্ডপ সজ্জায় জুতো, 'ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত', অভিযোগ বিজেপির, খারিজ উদ্যোক্তাদের


ফিরহাদ হাকিম বলেন, প্রত্যেক বছরের মত ব্যবস্থা থাকবে। বিসর্জনের জন্য হেস্টিংসের কাছে তক্তাঘাটে জল দিয়ে প্রতিমা ধুয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা।


এদিন বিভিন্ন ঘাটে গিয়ে ঘাট পরিষ্কারের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস কুমার। এরমধ্যে জাজেশ ঘাটে রেললাইনে একটি সমস্যা রয়েছে। দশমীর আগে তা মেরাতমত করে দেওয়ার জন্য, পুরসভার তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে রেলকে। তিনি বলেন, বিজয়ার আগে যাতে হয়, রেলকে বলেছি। বিসর্জনে কোভিড বিধি মানতে হবে।


বিসর্জনের পর গঙ্গা থেকে দ্রুত প্রতিমার কাঠামো তুলে ফেলার জন্য একাধিক ঘাটে থাকছে ক্রেনের ব্যবস্থা।