সুনীত হালদার, হাওড়া: প্রবল বর্ষণে এমন মর্মান্তিক ঘটনা যে হয় না, তা নয়। কলকাতার বুকে প্রায় প্রত্যেক বছরই এমন খবর উঠে আসে। কিন্তু সেতো একশো -দেড়শো বছরের পুরনো বাড়ি। যা বিপজ্জনক বলে আগেই ঘোষণা করা হয়েছে। সন্ধ্যা রাতে, ভোর রাতে, সকালে এমন ঘটনার খবর মহানগরের নানা জায়গা থেকে এসেছে অতীতে। কিন্তু হাওয়ার বাগনানে ঘটল ব্যাতিক্রমী ঘটনা। বাগনান থানার বাঁকুড়দহ গ্রামে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল দোতলা পাকা বাড়ি। 


হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বাগনানের দোতালা বাড়ি


গোটা ঘটনা ক্যামেরাবন্দী হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে ঝিরঝির করে বৃষ্টি হচ্ছিল হাওড়ার বাগনানে। বাগনান দুই নম্বর ব্লকের অন্তর্গত ওরফুলি অঞ্চলের বাঁকুড়দহ গ্রামের বাসিন্দা  বিশ্বনাথ সামন্তর বাড়ি হুড়মুড়িয়ে পাশের পুকুরে ভেঙে পড়ে। যখন বাড়িটি ভেঙে পড়ে তখন ঘরের মধ্যে কেউ ছিলেন না। ফলে এই ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে বাড়িটি পুকুরের ধারে হওয়ায় এবং বৃষ্টিতে মাটি নরম হয়ে যাওয়ায় বাড়িটি বসে গিয়ে ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।


 গার্ডেনরিচের রেশ এখনও মেলায়নি


সম্প্রতি গার্ডেনরিচে ভেঙে পড়েছিল একটি বাড়ি। ক্ষতির বহরও ছিল অনেক। যা নিয়ে রীতিমত চাপের মুখে পড়েছিল কলকাতা পুরসভা তথা মেয়রও। জল গড়িয়েছিল অনেকদূর। কীভাবে ওই বিল্ডিংয়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, সেই প্রশ্ন উঠেছিল। একে অপরের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছিল। যদিও পরে এনিয়ে ক্ষমা চাওয়া হয়েছিল। যদিও এখানেই বিষয়টি শেষ হয়নি।


শহরে একের পর এক বেআইনি নির্মাণ


এর পরেই কলকাতা পুরসভা কড়া নজরদারি চালায়, যে কোথায় কোথায় বেআইনি নির্মাণ রয়েছে। যা নিয়ে অ্যাপ তৈরি হয়েছে। এরপর কড়া হাতে সামাল দেয়, এবং খুঁজেও বারবার করা হয় একের পর এক বেআইনি নির্মাণ। কিন্তু কথা হচ্ছে, বারবার তিক্ত ঘটনার পরেই কেন নজর পড়ে, কেন আগাম সতর্কতা জারি হয় না, এনিয়ে বিরোধীরাও কম প্রশ্ন তোলেনি। তবে বাগনানের ঘটনায় তেমন কোনও তথ্য এখনও সামনে আসেনি। ঠিক কী কারণে ওই দোতালা বাড়ি ভেঙে পড়ল, তার প্রকৃত কারণ এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।


আরও পড়ুন, কলকাতায় ভোটের আগে হাওড়া ব্রিজে লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।